গুপ্তচর 'সেহমত'-এর সত্যি ঘটনাকে নিয়ে তৈরি 'রাজি'!দেশকে কোন চাঞ্চল্যকর তথ্য তিনি পাঠিয়েছিলেন
ছবির ট্রেলারই বলে দিচ্ছে গোটা ফিল্মের গল্পটি কাশ্মীরের পটভূমিতে ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধকে নিয়ে রচিত। মূলত, এই কাহিনি অনুপ্রাণিত হয়েছে হরিন্দর সিক্কার উপন্যাস 'কলিং সেহমত' থেকে
সদ্য মুক্তি পেয়েছে আলিয়া ভাট অভিনীত , মেঘনা গুলজার পরিচালিত ছবি 'রাজি'-র ট্রেলার। ছবির টিজার থেকে ট্রেলার সমস্ত কিছুতেই মুগ্ধ দর্শকরা। ছবির ট্রেলারই বলে দিচ্ছে গোটা ফিল্মের গল্পটি কাশ্মীরের পটভূমিতে ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধকে নিয়ে রচিত। মূলত, এই কাহিনি অনুপ্রাণিত হয়েছে হরিন্দর সিক্কার উপন্যাস 'কলিং সেহমত' থেকে। যে গল্প '৭১ এর যুদ্ধের সময় এক মহিলা গুপ্তচরকে নিয়ে লেখা হয়। কী ছিল সেই মহিলা গুপ্তচরের কাহিনি, কোন তথ্যই বা তিনি দেশকে পাঠিয়েছিলেন সীমান্তের ওপার পাকিস্তান থেকে? দেখে নেওয়া যাক।
'কলিং সেহমত'
'কলিং সেহমত' উপন্যাসের লেখক হরিন্দর সিক্কা প্রাক্তন নৌসেনা অফিসার ছিলেন। তিনি কার্গিল যুদ্ধের সময় প্রাথমিকভাবে ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগ তথা সেনার ব্যার্থতা নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে গবেষণা সংক্রান্ত কাজে কার্গিল পৌঁছন । সেখানে তিনি এক সেনা অফিসারের কাছ থেকে জানতে পারেন বহুকাল আগে ১৯৭১ এর যুদ্ধে ভারত থেকে এক মহিলা গুপ্তচরকে পাঠানো হয়েছিল। যিনি সম্পর্কে ওই সেনা অফিসারের মা।
[আরও পড়ুন:মহিলা গুপ্তচরের দুঃসাহসিক কাহিনি, মুক্তি পেল 'রাজি'-র ট্রেলার, দেখুন ভিডিও]
খোঁজ শুরু হয় সেই মহিলার!
ঘটনার কথা জানতে পেরেই হরিন্দর সিক্কা খোঁজ করতে থাকেন সেই সেনা অফিসারের মায়ের। যাঁকে নিয়েই লেখা 'কলিং সেহমত' উপন্য়াসটি। যদিও ওই মহিল গুপ্তচরের আসল নাম উপন্যাসে লেখা হয়নি। জানতেও দেওয়া হয়নি সেই মহিলার আসল পরিচয়। আর সেই সেহমতকে নিয়েই লেখা হয় তাঁর জীবনের গায়ে কাঁটা দেওয়া আসল কাহিনি।
পাকিস্তানে সেহমতে প্রবেশ
গল্পে সিক্কা জানান, কীভাবে পাকিস্তানে সেহমতে পাঠানো হয়েছিল। জানা যায়, ১৯৭১ সালে সেহমতের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তানের এক সেনা অফিসারের। কাশ্মীরি মুসলিম পরিবারের মেয়ে সেহমতের বাবা ছিলেন উপত্যকার এক নামী ব্যবসায়ী। আর তিনিই সেহমতকে সীমান্তের ওপারে পাঠাতে রাজি হন। 'রাজি' হয়ে যায় সেহমতও!
চাঞ্চল্যকর তথ্য পাঠান সেহমত
সেহমত পাকিস্তানে গিয়ে ক্রমাগত ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে সীমান্তের ওপার থেকে খবর পাঠাতে থআকতেন। পাক সেনা অফিসারের স্ত্রী হওয়ার কারণে তাঁর কাছে সমস্ত তথ্য় আসা সম্ভব ছিল। আর এরই মধ্যে একটি তথ্য ছিল দেশের গর্ব ভারতীয় নৌসেনার জাহাজ আইএনএস বিরাটকে নিয়ে। সেহমত জানান, আইএনএস বিরাটকে পাকিস্তান ডুবিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছে। যা দেশের সুরক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল।
পাকিস্তানে সেহমত যা করেছিলেন
জানা যায়, সেনা অফিসারের স্ত্রী হিসাবে পাকিস্তানের সেনা জেনারেল ইয়াহা খানের নাতি নাতনিদের পড়াতে যেতে সেহমত। আর পাশাপাশি চালাতেন তাঁর গুপ্তচরবৃত্তির কাজ।
শেষে কী হয়?
শোনা যায়, সবকিছু শেষ হওয়ার পর, নিজের কাজ শেষ করে দেশে ফিরে আসেন সেহমত। থাকতে শুরু করেন পাঞ্জাবে। শুধু একাই আসেননি সেহমত।যখন তিনি দেশে ফেরেন তখন তাঁর গর্ভে লালিত হচ্ছিল ভারতের আরেক গর্ব- তাঁর সন্তান। যে সন্তানও পরবর্তীকালে ভারতীয় সেনার অফিসার হন।