সারমেয় নিয়ে আবাসনের বাসিন্দাদের কাছে হেনস্থা, ফেসবুক লাইভে কেঁদে ফেললেন শ্রীলেখা মিত্র
সারমেয় নিয়ে আবাসনের বাসিন্দাদের কাছে হেনস্থা, ফেসবুক লাইভে কেঁদে ফেললেন শ্রীলেখা মিত্র
রাস্তার কুকুরদের আদর–যত্ন করার ফল পেতে হল অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রকে। নিজেরই আবাসনে চূড়ান্ত হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে, অভিযোগ করেন শ্রীলেখা। ফেসবুক লাইভে এসে রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী। নিজের হাতে সাজানো ফ্ল্যাটও ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সেপ্টেম্বরেই বাবাকে হারিয়েছেন শ্রীলেখা। মন এমনিতেই ভালো নেই তাঁর। তার ওপর শুক্রবার আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়ালেন শ্রীলেখা। শ্রীলেখা বরাবরই আবাসনের নীচে থাকা রাস্তার কুকুরদের আদর–যত্ন করে এসেছেন। আর এই কারণে তাঁকে বহুবার আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দাদের কাছে অপমানিত হতে হয়েছে। ফেসবুক লাইভে এসে ঝরঝরিয়ে কেঁদে ফেলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তাঁর আফসোস 'এই সমাজে বোধহয় আমি বা আমার মতো মানুষ থাকার যোগ্য নই’। অভিনেত্রীর অভিযোগ, অপ্রিয় সত্যি কথা বলেন বলে অনেকেই তাঁকে অপছন্দ করেন। রাস্তার কুকুরদের হয়ে কথা বলেছেন বলে আবাসনের এক মহিলা তাঁকে পাগল বলেছেন। এই নিগ্রহ আর মেনে নিতে পারছেন না বলেই জানান অভিনেত্রী।
কীভাবে শুরু হল এই ঘটনা? শ্রীলেখার কুকুরের প্রতি ভালোবাসা কারোর অজানা নয়। দেশি-বিদেশি কুকুরদের সমান ভালোবাসেন তিনি। পাশাপাশি আবাসনের নীচে থাকা দেশি কুকুরদেরও সমান দেখভাল করেন, নিয়মিত খেতে দেন অভিনেত্রী। এদিন শ্রীলেখার আবাসনের নীচের একটি কুকুরের কামড়ে ওই আবাসনেরই একটি বাচ্চা মেয়ে আহত হয় বলে অভিযোগ আবাসিকদের। এরপরই সেই কুকুরটির উপর চড়াও হয় আবাসিকরা। স্বভাবতই শ্রীলেখা কুকুরগুলির দেখভাল করায় তাঁর সঙ্গেও তুমুল কথাকাটি হয় আবাসনের বাসিন্দাদের। কুকুরটিকে বিষ খাইয়ে মারা হবে এমনই কথা কানে এসেছে তাঁর এমন অভিযোগ করেন শ্রীলেখা। প্রতিবাদ জানালেন শ্রীলেখার ফ্ল্যাটের সামনে আবর্জনা ছড়িয়ে দিয়ে আসবার হুমকি দেন এক বাসিন্দা।
এরপর লাইভে এসে শ্রীলেখা মিত্র বলেন, 'আমি আর পারছি না। আমি মানুষদের সঙ্গে কম মিশি। আমি নিজের সমার্থ্যমতো কুকুরগুলোকে দেখি। আমি হেরে গিয়েছি, আই গিভ আপ।…. এই কুকুরগুলোকে আমার সব ভ্যাকসিন দেওয়া, অ্যান্টি রেবিস দেওয়া…. আমি কোনও কিছু শান্তিভাবে করতে পারছি না। আমি এখান থেকে চলে যেতে চাই। বাবার মৃত্যুর পর আমি এমনই ঠিক নেই। সামনে আমার দুটো ছবি রিলিজ। আমি কিচ্ছু করতে পারছি না। আমি এখান থেকে চলে যেতে চাই, একা একা এই লড়াই আমি আর করতে পারছি না। এই নেগেটিভিটি নিয়ে আমি বাঁচতে পারছি না’।