জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মান নিয়ে বিতর্ক, অনুষ্ঠানে থাকছেন না সিংহভাগ পুরস্কার প্রাপক
জাতীয় পুরস্কার প্রদানের দিনই শুরু হল এক নতুন বিতর্ক। ৬৫ তম জাতীয় সম্মান প্রদানের আগেই বিতর্ক দানা বাঁধে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের নয়া ধরণ ঘিরে
জাতীয় পুরস্কার প্রদানের দিনই শুরু হল এক নতুন বিতর্ক। ৬৫ তম জাতীয় সম্মান প্রদানের আগেই বিতর্ক দানা বাঁধে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের নয়া ধরণ ঘিরে। জানা গিয়েছে, অন্তত ৬০ জন পুরস্কার প্রাপক নায়দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে জাতীয় পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠানে আজ উপস্থিত থাকছেন না।
[আরও পড়ুন:মণিকান্তপুরে কী ঘটেছে সেটা কী জানেন! সেখানে 'গুপ্তধনের সন্ধানে' বেড়িয়ে কী পেলেন আবিররা ]
বুধবার পুরস্কারের মহড়া চলাকালীন জানানো হয় পুরস্কার প্রাপকদের প্রথম ১১ জনের হাতেই কেবল পুরস্কার তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ । বাকি ১২৯ জনকে পুরস্কার প্রদান করবেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সচিব। ৬৪ বছরের প্রথা ভেঙে এই নতুন নিয়ম ঘিরেই ক্ষুব্ধ হন পুরস্কার প্রাপকরা। শুরু হয় হইচই। পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে বাকি ১২৯ জন অপমানিত বোধ করছেন এই নতুন প্রথা নিয়ে। প্রতি বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপকদের হাতে এই সম্মান তুলে দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। গত ৬৪ বছর ধর এই প্রথাই দেখে এসেছে দেশ।কিন্তু পরিবর্তন হল এই বছরই। প্রথম ১১ জনের বাইরে থাকা সম্মান প্রাপকদের দাবি, দেশের সর্বোচ্চ নাগরিকের হাত থেকে এই সম্মান পাওয়া মর্যাদার বিষয়। এই প্রথা এবছর কেন পালিত হচ্ছে না , তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি ব্যতীত এই সম্মান প্রাপকদের হাতে কেউ তুলে দেয়নি। আর ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ ৬০ জন পুরস্কার প্রাপক এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যাঁরা এদিনের অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলা ছবির বিখ্যাত পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ও। তাঁর ছবি 'নগরকীর্তন' এবছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিভিন্ন বিভাগে সম্মনিত হয়েছে।