পরীমনির আসল পরিচয় কী! মাদককাণ্ডের অভিযোগে বাংলা তোলপাড় করা এই অভিনেত্রীর কিছু অজানা কথা একনজরে
পরীমনির আসল পরিচয় কী! মাদককাণ্ডের অভিযোগে বাংলা তোলপাড় করা এই অভিনেত্রীর কিছু অজানা কথা একনজরে
গতকাল থেকেই বাংলাদেশ কার্যত তোলপাড় হয়েছে অভিনেত্রী পরিমনির গ্রেফতারির ঘটনায়। বাংলাদেশের ব়্যাবের তরফে গতকাল দুপুর থেকে পরিমনীর বাড়িতে তল্লাশির অভিযান চালানোর উদ্দেশে যাওয়া হয়। তবে সহজে দরজা খুলতে চাননি পরিমনী। তাঁর ফেসবুক লাইভ ভিডিওতে জানা যায় যে বাংলাদেশের ব়্যাব ফোর্স বাড়ির বাইরে দরজা ধাক্কালেও খুলতে চাননি তিনি। পরবর্তীকালে সন্ধ্যে নাগাদ পরীমনিকে গ্রেফতার করা হয়। প্রসঙ্গত, ব়্যাবের তরফে জানানো হয়েছে 'আইস','এলএসডি'র মতো মাদক পরীমনির বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দেখে নেওয়া যাক কে এই পরীমনি?
পরীমনির আসল পরিচয়
বাংলাদেশের বহু ফিল্মের অভিনেত্রী ও মডের হিসাবে পরিচিতি রয়েছে পরীমনির। মূলত তাঁর আসল পরিচয় শামসুন্নাহার স্মৃতি হিসাবে। এটিই তাঁর আসল নাম। 'ভালোবাসা সীমাহীন' ছবির হাত ধরে বাংলাদেশের ফিল্মে হাতেখরি পরীর। এছাড়াও 'আরও ভালোবাসব তোমায়' , 'মহুয়া সুন্দরী'র মতো ছবি দিয়ে অভিনয়ের জগতে আসেন পরীমনি। খুব কম সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশের মনোরঞ্জনের জগতে নাম করতে শুরু করেন এই সুন্দরী অভিনেত্রী। যতই বাড়ে তাঁর গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের নাম , ততই বাড়ে তার নেপথ্যে থাকা বিতর্কের অন্ধকার জগত। উঠে আসে নানান অভিযোগ, গুঞ্জন।
মা বাবাকে হারিয়ে কোথায় বড় হয়েছেন পরী?
বাংলাদেশের খুলনার সাতক্ষীরায় জন্ম হয়েছে পরীমনির। ১৯৯২ সালের ২৪ অক্টোবর তাঁর সেখান জন্ম বলে জানা যায়। খুব ছোটবেলাতেই বাবা ও মাকে হারান পরী। এরপর পিরোজপুরে তাঁর দাদু শামসুল হকের কাছে মানুষ হন পরীমনি। সেখান থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন পরী। এরপর সরকারি কলেজে বাংলা নিয়ে অনার্স পড়াকালীনই ঢাকা আসেন পরী। এরপর শুরু হয় পর পর উত্থানের কাহিনি।
এক বছরের মধ্যে অবিশ্বাস্য উত্থান
'যুগান্তর' পত্রিকার খবর অনুযায়ী ঢাকায় পা রাখার পর প্রথম ফিল্মে সুযোগ পেয়েই অবিশ্বাস্য উত্থান শুরু হয় পরীমনির। বাংলাদেশের পরপর ছবিতে স্বাক্ষর করেন তিনি ১ বছরে ২০ টি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হন পরীমনি। হু হু করে আসতে থাকে অর্থ। একাধিক গুঞ্জন বলছে, ঢাকায় পা রাখতেই পর পর ছবিতে যেমন সুযোগ পান পরিমনী, তেমনই শহরের অভিজাতদের সঙ্গে শুরু হয় তাঁর ওঠাবসা।
বিয়ে, বিচ্ছেদ ও পরিমনী
২০১৯ সালের ১৪ ফেবরুারি তামিম হাসানের সঙ্গে পরীমনির বাগদান হলেও, শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়ে যায়। এরপর ২০২০ সালে বিয়ে করেন পরীমনী। ২০২০ সালের ৯ মার্চ পরিচালক কামরুজ্জামান রনির সঙ্গে বিয়ে হয় পরীমনির। এদিকে, সেই বিয়ের কয়েক মাস পরই পরিমনীর বিচ্ছেদ হয়। ঘটনা ব্যপক গুঞ্জন ছড়ায় ঢলিউডে। এদিকে, জানা যায়, ঢাকা শহরের বহু পাঁচতারা হোটেলে নাকি পরীমনির যাতায়াত শুরু হয়। সেই থেকেই একাধিক সন্জদেহ জাগ্রত হয়েছে।
পরিমনীর গ্রেফতারি ও বিস্ফোরক অভিযোগ
জানা গিয়েছে, গতকাল দুপুর থেকে চেষ্টার পর রাত নাগাদ পরীমনিকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। বাড়িতে মিনিবার পরিচালনা করার অভিযোগ রয়েছে পরিমনীর বিরুদ্ধে। তিনি বাড়িতে দেশ বিদেশের মদের বোতল রাখতেন বলে শোনা গিয়েছে। জানা গিয়েছে রাশিয়ান ভদকা সহ বিভিন্ন ধরনের মাদক পাওয়া গিয়েছে। এলএসডি থেকে আইসের মতো বিষাক্ত মাদকও তা সেবনের সরঞ্জামও পাওয়া গিয়েছে।
ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ
এর আগে , বাংলাদেশের এক নামী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে সরব হন পরীমনি। বাংলাদেশের বোটক্লাবে ঢাকায় তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। তিনি এক ফেসবুক লাইভে এসে বাংলাদেশের প্রধানমমন্ত্রী শেখ হাসিনারা কাছে এই মামলায় দোষীদের শাস্তি দাবি করেন। এরপরই দুই জনকে ঘটনার জেরে গ্রেফতার করা হয়। তবে পরীমনীর ওপর থেকে বিতর্কের ছায়া সরে যায় না।
নজরুল ও পরীমনি নজরে
পরিমনীর সঙ্গেই বুধবার রাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার নজরুল ইসলামকেও গ্রেফতাক করা হয়েছে। ব়্যাব সূত্রের খবর দুইজনের বিরুদ্ধে ব়সড় মামলা হতে পারে। রাজের বিরুদ্ধে পর্ন ফিল্মে যোগের একটি অভিযোগ উঠছে আসছে। মাদকের ঈসরে বসিয়ে সেখানে বিত্তবান ব্যবসায়ী ও উচ্চবিত্ত ঘরের সন্তানদের ভিডিও করার ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন বলে অভিযোগ। নজরুলের বিরুদ্ধে এই ভিডিও দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করার অভিযোগও উঠছে।
ছবি
সৌ:পরীমনির
ফেসবুক
প্রোফাইল