সোস্যাল মিডিয়ায় 'নীতি পুলিশ'-এর শিকার মীর, দিলেন উপযুক্ত জবাব
বড়দিন পালন করে স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছিলেন মীর। আর তাতেই একদল মুসলিম নীতি পুলিশ মুসলমানের বড়দিন পালন না করা নিয়ে উপদেশ দেন। যোগ্য জবাব দিয়েছেন মীর।
বড়দিন পালন করে স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছিলেন মীর। আর তাতেই একদল মুসলিম নীতি পুলিশ মুসলমানের বড়দিন পালন না করা নিয়ে উপদেশ দেন। যোগ্য জবাব দিয়েছেন মীর।
"আমার
জীবনের
দুজন
সান্তা।
আমার
প্রত্যেকদিনই
বড়দিন।"
বড়দিনে
স্ত্রী
ও
মেয়ের
সঙ্গে
এক
মিষ্টি
মুহূর্তের
ছবি
পোস্ট
করে
তাতে
এই
লাইনগুলিই
লিখেছিলেন
জনপ্রিয়
আরজে,
অভিনেতা,
কৌতুক
শিল্পী
মীর
আফসর
আলি
ওরফে
সকলের
প্রিয়
মীর।
তারপরই
একের
পর
এক
পোস্ট
মীরের
ছবিতে...
'মীর
ভাই
এই
শুভেচ্ছা
দেওয়া
ঠিক
হয়নি
পাপের
কাজ
করলেন।'[স্ত্রীয়ের
সঙ্গে
ছবি
পোস্ট
করলেন
মহম্মদ
শামি,
আর
তা
নিয়েই
ধুন্ধুমার
সোস্যাল
মিডিয়ায়]
'কোনও মুসলমান বড় দিনের উৎসব পালন করতে পারে না। তুমি অবশ্যই মুসলমান তাই তোমার জন্য বড়দিন নয়। তওবা করে সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ চাও।'
'মীর ভাই তুমি যতই মুক্তমনা হওনা কেন, দিনের শেষে তুমি একজন মুসলমান। জন্মের সময় তোমার কানে আজান দেওয়া হয়েছিল....তোমার জীবনে প্রত্যেকটা দিন যুমার দিন হতে পারে, হজের দিন হতে পারে। বড়দিন কী করে হয় বল। আল্লাহ তোমায় হেদায়েত দান করুক।'
সোস্যাল মিডিয়ায় মুসলিম ধর্মালম্বী একাংশের এইধরনের নীতি পুলিশ-এর জেরে উদ্বিগ্ন মীর নিজের ভাবনা ব্যক্ত করেন ফেসবুকের পেজেই।
'মীর বলেন আমি ক্ষুব্ধ নই, বিদ্রোহও করছি না।' তবে উদ্বিগ্ন মীর বলেন, "আমরা অদ্ভুৎ পৃথিবীতে বাস করছি, অদ্ভুৎ সময়ের মধ্যে। সত্যিই ধর্মান্ধদের কোনও পরিসীমা নেই। সারা দেশে একটা উদ্বেগের ট্রেন্ড তৈরি হয়েছে।"
মীরের কথায়, শুধু এখানো বা ওখানে বলে নয়, এই ট্রেন্ডটা সর্বত্র রয়েছে। সংকীর্ণ মনের মানুষ আগেও ছিল তবে দিনে দিনে এই ধরনের চিন্তাধারার বিষয়ে বেশি করে শোনা যাচ্ছে, সামনে আসছে।
সবশেষে মীর বলেন, মিশনারি স্কুলে ১৫ বছর পড়েছি, মসজিদে নিয়মিত গিয়েছি, পবিত্র কোরান পাঠ করেছি ৩ বছর, হিন্দু ব্রাহ্মণ মহিলার সাথে বিয়ে করেছি যাকে কখনও ধর্মান্তরের জন্য চাপ দেওয়া হয়নি। সবশেষে বলতে পারি... ভগবান এদের ক্ষমা কর... এরা জানে না এরা কি করছে।'