ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত মহিমা চৌধুরী, লড়াইয়ের মধ্যেও কাজ করবেন সিনেমায়
ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত মহিমা চৌধুরী, লড়াইয়ের মধ্যেও কাজ করবেন সিনেমায়
তাঁর প্রথম সিনেমা পরদেশ (১৯৯৭) দিয়ে বলিউডে প্রবেশ করার পর মহিমা চৌধুরী বেশ জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছিলেন। শাহরুখের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী। এরপর অভিনেত্রী একাধিক বলিউড সিনেমায় কাজ করেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত অভিনেত্রীর এখন খুব কঠিন সময় চলছে এবং তিনি স্তন ক্যান্সারে ভুগছেন।
অনুপম খের এই খবর জানান
মহিমা চৌধুরীর এই অসুস্থতার খবর প্রথম জানান অভিনেতা অনুপম খের, যিনি তাঁর সঙ্গে একটি প্রজেক্টে কাজ করছেন। অভিনেতা অনুপম খের মহিমা চৌধুরীর সাহস এবং ক্যান্সারের গল্প ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও এবং একটি হৃদয়গ্রাহী নোটের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। শুধু তাই নয় অনুপম খেরের চোখে অভিনেত্রী হিরো। বর্তমানে তাঁর চিকিৎসান চলছে আমেরিকায়।
মহিমার সাহসীকতার গল্প শোনালোন অনুপম খের
অনুপম খের মহিমা চৌধুরীর একটি ভিডিও শেযার করে আবেগঘন ক্যাপশন দিয়ে লিখেছেন, 'মহিমা চৌধুরীর ক্যান্সার ও সাহসীকতার গল্প। আমি আমার ৫২৫তম সিনেমা দ্য সিগনেচার-এ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য এক মাস আগে আমেরিকা থেকে ডেকে পাঠাই। আমাদের আলোচনা চলাকালীন জানতে পারি যে মহিমা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত। আমাদের মধ্যে এই অকপট কথোপকথনে যা অনুসরণ করা হয়েছে। তবে তাঁর এই সাহসী আচরণ বিশ্বের একাধিক মহিলাকে সাহস জোগাবে। মহিমা চেয়েছিলেন সকলের সামনে এই খবর প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আমি এই ভূমিকা পালন করি। মহিমার আমাকে ওপিটিমিস্ট বললেও আমার কাছে মহিমা হল হিরো। আপনারা সকলে ওকে শুভেচ্ছা, ভালোবাসা, আর্শীবাদ দিন। জয় হো।' অনুপম আরও জানান যে মহিমার যেখানে থাকার কথা তিনি সেখানেই ফিরে এসেছেন।
কেমোথেরাপি হয়ে গিয়েছে
অনুপম খের আরও একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যেখানে তিনি অভিনেত্রীকে তাঁর চিকিৎসার বিষয়ে জানাতে বলছেন। বর্তমানে কেমোথেরাপি চলছে মহিমার এবং ক্যানসারের চিকিৎসার কারণে চুল পড়ে গিয়েছে মহিমার। তবে সেটা কোনও প্রতিবন্ধকতাই নয়, মহিমা এই ছবিতে অভিনয় করবেন শুধু তাই নয় অনুপম জানান চরিত্রের স্বার্থে উইগ বা পরচুলা ব্যবহার করতে আপত্তি নেই অভিনেত্রীর।
ক্যান্সার শব্দটি আজও আতঙ্কের
কীভাবে এই রোগটি সনাক্ত করতে পারলেন মহিমা? অভিনেত্রী এ বিষয়ে বলেন, 'আমার কোনও উপসর্গ ছিল না, নিয়মিত চেক-আপের সময় এটা ধরা পড়ে। আমি আমার নিয়মিত টেস্ট করে নিয়েছি এবং যে ব্যক্তি পরীক্ষা করছিলেন তিনি বলেছিলেন যে আমার গিয়ে এটি পরীক্ষা করা উচিত। তাঁরা আমায় কেমোথেরাপি করতে বলেছিল এবং আমি সেটা শুনে কেঁদে ফেলি। আর আমার বোন তখন বলেছিল যে এটার চিকিৎসা করা যায়। আমার বোন আমায় বলেছিল যে কেন আমি ১৭ শতাব্দীর মহিলাদের মতো আচরণ করছি। কিন্তু তারপরেও আমি ক্যান্সার শব্দটি নিয়ে খুব আতঙ্কিত, যে কারণে আমি প্রথমে এটি আমার বাবা-মায়ের সাথে শেয়ার করিনি, কারণ তারা খুব দুর্বল।'
বলিউড অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরী
জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ২০১৬ সালে মহিমাকে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল ডার্ক চকোলেট সিনেমায়। ১৯৯৭ সালে মহিমা চৌধুরী পরদেশ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে এন্ট্রি নেন। কিন্তু ১৯৯৯ সালে দিল ক্যায়া করে-এর শেষ দিনে মহিমার ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিলেন। যেখানে তাঁর মুখে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২০০৬ সালে মহিমার সঙ্গে বিয়ে হয় ববি মুখোপাধ্যায়ের। কিন্তু সেই বিয়ে টেকেনি। তাঁরা ২০১৩ সালে ডিভোর্স হয়। মহিমা এখন তাঁর কন্যা আরয়ানার একক অভিভাবক।
ভাঙল অসংখ্য হৃদয়, সাতজন্মের জন্য ভিগনেশের হলেন নয়নতারা, ছবি পোস্ট নবদম্পতির