'কুরবানি'র অর্থ ছাগল বা ভেড়া জবাই নয়, ইরফান খানের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ মুসলিম ধর্মগুরুরা!
মাদারি ছবির মুক্তির মাত্র কয়েকদিন আগেই ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী মানুষদের চটিয়ে দিলেন ছবির অভিনেতা ইরফান খান। ছবির প্রচারে জয়পুরে গিয়ে, রমজানের সময় উপোষ করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ইরফান।["মহিলারা পশ্চিমী পোশাক পরাতেই শুকিয়ে যাচ্ছে ইরানের দীর্ঘতম নদী"!]
তিনি বলেন, "রমজানে উপোষ করার চেয়ে মানুষ নিজের অন্তর্দর্শন মূল্যায়ন করতে পারে। মহরমের সময় কুরবানির নাম করে নিরীহ পশুদের জবাই করা হয়। আমরা মুসলমানরা মহরমকে উপহাসে পরিণত করেছি। এটা শোকপালনের জন্য করা হয়, আর আমরা কী করি? তাজিয়া (শোভাযাত্রা) বের করি।" ["বোমা বাঁধতে ও মারতে শেখায় ইসলাম ধর্ম" : ফের বিতর্কিত মন্তব্য তসলিমার]
শুধু তাই নয়, ইরফান বলেন, "কুরবানির মানে হল তোমার খুব কাছের কোনও জিনিসের বলিদান দেওয়া। নাকি জবাই করার জন্য ছাগল বা ভেড়া কিনে আনা। আজকালকার দিনে আমরা ধর্মীয় এই কার্যবিধিগুলির প্রাসঙ্গিকতাই ভুলে গিয়েছি, এবং না জেনেই বিধি পালন করে চলেছি।" [হানিমুনে আসা দম্পতিদের জন্যই ২০১৩ সালে উত্তরাখণ্ডের বন্যা, নয়া আরোপ শঙ্করাচার্যের!]
পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মুসলিমরা কেন আওয়াজ তোলেন না সে প্রশ্নও করেন ইরফান।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই অভিনেতার মন্তব্য ভাল চোখে দেখছেন না মুসলিম ধর্মগুরুরা। এবং ইরফানের মন্তব্য নিয়ে চরম বিতর্কেরও সৃষ্টি হয়েছে। জয়পুরের মুসলিম ধর্মগুরুরা অভিনেতার এহেন মন্তব্যে বেজায় চটেছেন। [(ছবি) ভারতের সেরা ৯ 'ভণ্ড তপস্বী' ও তাঁদের মহান কীর্তি!]
জামাত-ই-উলমা-এ-হিন্দ এর রাজ্য সম্পাদক মৌলানা আবদুল ওয়াহিদ খতরি এই প্রসঙ্গে বলেন, "আমার মনে হয় ইরফান যদি নিজের ফিল্ম কেরিয়ারের দিকে মনোযোগ দেন তাহলে ভাল হবে। আমাদের ধর্ম নিয়ে অযথা কোনও মন্তব্য করার প্রয়োজন নেই। নিজের আগামী ছবির প্রচারের জন্য এইসব বলছেন অভিনেতা।" [আম জনতার জীবনে যোগব্যায়াম আসলে ধর্ষণ কমবে, দাবি মুরলী মনোহর যোশীর]
এছাড়াও মুসলিম ধর্মগুরুদের একাংশ ইরফানকে মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। তাদের কথায়, যার ধর্মের বিষয়ে কোনও জ্ঞান নেই তার কোনও মন্তব্য করা উচিত নয়।