মিঠুন-যোগীতা প্রেমে মন ভেঙেছিল কিশোরের! ধর্মেন্দ্র থেকে অনুপমের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক কোনখাতে বয়েছিল
মিঠুন-যোগীতা প্রেমে মন ভেঙেছিল কিশোরের! ধর্মেন্দ্র থেকে অনুপমের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক কোনখাতে বয়েছিল
বলিউডের লাইমলাইট যতটা জোড়ালো , ততটাই ঠিকরে পড়ে এর নেপথ্যের অন্ধকার। বলিউডের এক একটি চরিত্র যেন এক একটি অধ্যায়। বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন কলাকুশলীকে ঘিরে বলউডে উঠে এসেছে বহু প্রেম কাহিনি। আর সেকরমই কিছু কাহিনি উঠে এসেছে বলিউড তারকাদের বিবাহ বহির্ভূত কিছু সম্পর্ক নিয়ে। বিবাহিত সঙ্গীকে আপন করে সুখের ঘর বাঁধার চেষ্টায় বহু চিত্রতারকাই উঠে এসেছিলেন সংবাদপত্রের 'গসিপ' এর পাতায়। কেমন ছিল সেই 'অন্যরকম' প্রেম, দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
জগজিৎ সিং ও চিত্রার বিয়ে
চিত্রা তখন ছিলেন নামী বিজ্ঞাপনী সংস্থার এক উচ্চপদস্থ কর্মীর স্ত্রী। আর জগজিৎ সিং ততদিনে জলন্ধর থেকে মুম্বইতে প্লেব্যাক করার স্বপ্ন নিয়ে কেরিয়ার গড়ার দিকে মনো নিবেশ করেছেন। কেরিয়ারের তখন খুবই কঠিন সময় জগজিতের। এদিকে, চিত্রাও তখন সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে নিজের কেরিয়ার গড়ার লক্ষ্যে । সংসারে তকন চিত্রার সঙ্গে তাঁর স্বামীর প্রবল অশান্তি লেগে থাকত। এমন পরিস্থিতিতে জগজিতের প্রতি টান উপেক্ষা করতে পারতেন না চিত্রা।যেতে স্টুডিওতে। জমতে শুরু করেছিল সম্পর্ক, প্রেম গভীরতা পাচ্ছিল। এরপর চিত্রার সংসারে ফাটল ধরতে শুরু করে। চিত্রা আলাদা থাকতে শুরু করেন। আর তারপরই জগজিত একদিন চিত্রার স্বামীর কাছে চিত্রাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। এরপর স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে চিত্রা ঘর বাঁধেন জগজিতের সঙ্গে।
অনুপম খের -কিরণ খের
বলিউডের অন্যতম দুই মুখ কিরণ ও অনুপম খের। দুই তারকার প্রেম পর্বও খানিকটা 'অন্যরকম' এর। চন্ডিগড়ে একটি গ্রুপ থিয়েটারের জন্য পৌঁছে যান কিরণ ও অনুপম। এই ঘটনা আশির দশকের। সেই সময় অনুপম বিবাহিত। কিন্তু খুশি ছিলেন না নিজের 'অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ' এ। আর অন্যদিকে কিরণও তখন মুম্বইয়ের নামী ব্যবসায়ীর পত্নী। তবে দাম্পত্যে তখন কিরণেরও ফাটল ধরেছিল। এমন এক পরিস্থিতিতে দুই তারকার বন্ধুত্ব থেকে প্রেম জমাট বাঁধে। সন্তনা সিকন্দরকে নিয়ে এরপর অনুপমের সঙ্গে ঘর বাঁধেন কিরণ।
সঞ্জীব কুমার থেকে জিতেন্দ্রর প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ধর্মেন্দ্র...
বলিউডে ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর প্রেম কাহিনিও বেশ আলোচনায় উঠে আসে বহুবার। শোনা যায়, সঞ্জীব কুমার থেকে জিতেন্দ্রর প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ধর্মেন্দ্রকে বেছে নিয়েছিলেন হেমা। ধর্মেন্দ্র ততদিনে বিবাহিত। আর বিবাহিতের সঙ্গে সম্পর্কে জড়তে তখন ইতস্তত করছিলেন তিনি। এরপর প্রেমের ডাকে সাড়া না দিয়ে পারেননি হেমা। ১৯৮০ সালে ইসলাম ধর্মে প্রবর্তিত হয়ে ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে করেন তিনি। ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন হেমার বাবা-মা। এদিকে, ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর তখন সমস্তটাই মেনে নেন। ধর্মেন্দ্র ততদিনে ৪ সন্তানের বাবা মা।
মিঠুন ও যোগীতা সম্পর্কে ক্ষুব্ধ ছিলেন কিশোর
১৯৭৯ সালে মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে হয় যোগীতা বালির। তার আগে যোগীতা ছিলেন শিল্পী কিশোর কুমারের তৃতীয় স্ত্রী। এরপর কিশোরের সঙ্গে যোগীতা বালির সম্পর্ক ছেদ হয়ে যায়। আর মিঠুনের সঙ্গে যোগীতার সম্পর্ক কিশোরের কানে আসতেই তিনি ক্ষুব্ধ হন। আর প্রডিউসার থেকে সঙ্গীত পরিচালকদের জানিয়ে দেন যে মিঠুন চক্রবর্তী যে ফিল্মে অভিনয় করবেন ,সেখানে তিনি প্লেব্যাক করবেন না। এইভাবেই দুই বাঙালির মধ্যে তিক্ততা তৈরি হয়। এদিকে, তখন মিঠুনের সঙ্গে শ্রীদেবীর সম্পর্কের খবর গুঞ্জন উঠতে থাকে। তবে শেষমেশ যোগীতার কাছেই ফিরে আসেন মিঠুন।
শ্রীদেবী -বিন কাপুরের প্রেম
বলিউডের অন্যতম বড়সড় গুঞ্জন শ্রীদেবী ও বনি কাপুরের প্রেম নিয়ে। বনি তখন মোনা সিংকে নিয়ে সুখের সংসার করছেন। রয়েছে অর্জুন আর অনশুলার মতো দুই সন্তান। এমন সময় 'মিস্টার ইন্ডিয়া'র সেট-এ দেখা শ্রীদেবীর সঙ্গে। মিঠুনের সঙ্গে তখন শ্রীদেবীর সম্পর্ক প্রায় তলানিতে। এমন পরিস্থিতিতে বনি-শ্রীদেবীর পরকীয়া জমে ওঠে বলে গুঞ্জন ছিল। এরপর শ্রীদেবীকে বিয়ে করতে বাধ্য হন বনি। ফলে, মোনা ও তাঁর ছেলে, মেয়ে চলে যায় অন্য বাড়িতে।