জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে চোখে জল, টিস্যু পেপার ফেরালেন দিয়া মির্জা
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে চোখে জল, টিস্যু পেপার ফেরালেন দিয়া মির্জা
কখনও কখনও সেলেবরাও তাঁদের আবেগকে ধরে রাখতে পারেন না। যেমনটা দেখা গেল দিয়া মির্জার ক্ষেত্রে। সোমবার জয়পুরের সাহিত্য উৎসবে এসে আবহাওয়া পরিবর্তন নিয়ে কতা বলতে গিয়ে নিজের চোখের জলকে ধরে রাখতে পারেননি অভিনেত্রী তথা সমাজ কর্মী দিয়া মির্জা। নিজের অনুগামী ও দর্শকদের উদ্দেশ্যে দিয়া মির্জা জানান, এই বিষযটি নিয়ে সহমর্মী হতে এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের ব্যাপারটিকে একটু বুঝতে বলেন। এই কথাগুলি বলার সময় দিয়ার দু’চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছিল, তাঁকে টিস্যু পেপার দেওয়া হলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে আবহাওয়া পরিবর্তন নিয়ে কথা বলা সময় তাঁর কোনও টিস্যু পেপারের দরকার নেই।
কেঁদে ফেললেন দিয়া
সাহিত্য উৎসবে দিয়া মির্জা দর্শকদের উৎসাহিত করে বলেন, ‘প্রত্যেকের দুঃখ কষ্ট বোঝার চেষ্টা করুন। চোখের জলকে ধরে রাখার চেষ্টা করবেন না, অনুভব করুন। সমস্ত কিছুর সম্পূর্ণ ব্যাপ্তি অনুভব করুন, এটি ভাল, এটি আমাদের শক্তি দেয়।' তিনি দর্শকদের অনুপ্রেরণা দিতে গিয়েই কেঁদে ফেলেন। তবে এই কান্নার পেছনে আরও একটি কারণ রয়েছে।
কোব ব্রায়ান্টের মৃত্যুতে শোকাহত দিয়া
রবিবার বাস্কেটবল স্টার কোব ব্রায়ান্ট ও তাঁর ১৩ বছরের মেয়ের আকস্মিক মৃত্যুও দিয়া মির্জাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। যার ফল দেখা গেল সোমবার। দিয়া মির্জা বলেন, ‘রবিবার আমার দিন খুব ভালোই কেটেছে। সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ আমার ফোনে এই খবরটি আসে, এনবিএ খেলোয়াড়, যাঁকে আমি অনেকদিন ধরে অনুসরণ করছি।' তিনি আরও বলেন, ‘ক্যালিফোর্নিয়াতে তাঁর চপার দুর্ঘটনার খবর আমায় বিব্রত করে দেয়। আমি খুবই হতাশ হয়ে পড়ি। বিভিন্ন সময়ে আমাদের বিভিন্ন ধরনের ঘটনাই হতাশ করে। কিন্তু আমাদের নিজেদের খেয়াল রাখতে হবে। আমার রক্তচাপ কম হওয়ায় আমি আবেগতাড়িত হয়ে পড়ি।'
মোদীর উদ্যোগের প্রশংসা
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দিয়া এর আগে ভারতকে একটি প্লাস্টিকমুক্ত জাতি হিসাবে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগেরও প্রশংসা করেছিলেন। দিয়া বলেন, ‘গত বছরের ১৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লালকেল্লা থেকে ২০২২ সালে ভারতকে প্ল্যাস্টিক-মুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।'
সিএএ-র প্রতিবাদে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন অভিনেত্রী পূজা ভট্ট