স্বামী ও স্ত্রী কে নিয়ে মজাদার বাংলা জোকস
স্বামী ও স্ত্রী কে নিয়ে মজাদার বাংলা জোকস
১.
স্বামী:
উমার
শ্বশুর
বাড়ি
মানে
শিবের
বাড়ি
কোথায়
জানো?
কৈলাশ
পর্বত।
আর
কৈলাশ
পর্বত
কোথায়
জানো?
চিনে।
স্ত্রী:
ও
মা,
জানতাম
না
তো
দুর্গা
চিনে
থাকে,
চাইনিজ।
তাই
বলি
চার
দিনের
বেশি
টেঁকে
না
কেন।
😊😊চার
দিন
ধরে
হাজব্যান্ড-
এর
জ্ঞান
ফেরানোর
চেষ্টা
চলছে।
☺☺😊👌
২.
পত্নী
রচনা
-------
পত্নী
নামক
প্রাণী
ভারত
সহ
সম্পূর্ণ
বিশ্বে
বহুল
সংখ্যায়
পাওয়া
যায়।
...প্রাচীনকালে
এদেরকে
রন্ধনশালা/ভোজনশালায়
পাওয়া
যেতো।
কিন্তু
বর্তমান
কালে
এদেরকে
শপিং
মল,
মাল্টিপ্লেক্স
এবং
রেস্তোরাঁয়
অধিক
দেখা
যায়।
...পূর্বে এই প্রজাতির চুল লম্বা ছিলো এবং আকৃতি সুন্দর ছিলো কিন্তু সম্প্রতি ছোটো ছোটো চুল, কৃত্রিম শ্বেতবর্ণ মুখ, রক্তের মতো লাল ঠোঁট সমন্বিত দেখা যায়।
...এদের মুখ্য আহার পতি নামক মূক প্রাণীর মস্তিষ্ক। ভারতবর্ষে এদের ধর্মপত্নী, ভাগ্যবতী, গৃহলক্ষ্মী ইত্যাদি নামে জানা যায়।
অধিক কথা বলা, অকারণে ঝগড়া করা, অতি ব্যয় করা এই প্রজাতির প্রধান লক্ষণ। কার্যতঃ এই প্রজাতির উপর সম্পূর্ণভাবে অধ্যয়ণ করা সম্ভব নয়।
কিন্তু সাধারণভাবে পত্নী নিম্নপ্রকার হয় :-
সুশীলা পত্নী:- এই প্রজাতি সাম্প্রতিককালে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এই প্রজাতির প্রাণী সুশীল এবং সহনশীল হতো এবং ঘরে ঘরে সহজলভ্য ছিলো।
আক্রমণকারী পত্নী :- এই প্রজাতিটি ভারত সহ সারা বিশ্বে অধিক মাত্রায় পাওয়া যায়। এরা আক্রামক শৈলি ও প্রবল প্রহারের জন্য অধিক পরিচিত। এরা সময়োপযোগী অস্ত্র যেমন রুটি বেলার বেলুন, ঝাঁটা, চরণপাদুকার প্রয়োগ অনায়াসে করে থাকে।
ঝগড়ুটে পত্নী :- এই প্রজাতিও বর্তমানে প্রায় সর্বত্রই পাওয়া যায়। এদের জোরে কথা বলা ও কথায় কথায় ঝগড়া করা খুবই পছন্দ। এদেরকে বেশিরভাগ সময় শাশুড়ি নামক আর এক ভয়ঙ্কর প্রাণীর সামনা করতে হয়।
ব্যয়কারিনী পত্নী :- ভারতের মতো গরীব দেশেও এই প্রজাতির সংখ্যা অনবরত বেড়েই চলেছে। এদের মুখ্য আচরণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য..., ক্রেডিট কার্ড রাখা, বিনা চিন্তাভাবনা করেই খরচা করা আর বিনা প্রয়োজনে জিনিসপত্র কেনা। এই প্রজাতির সাথে পতি নামক প্রাণীকে চপ্পল পরে (জামা ইন না করে পরে) ক্লান্ত হয়ে পিছন পিছন ঘুরতে দেখা যায়।
নেকী পত্নী :- এই প্রজাতির প্রাণীকে বেশিরভাগ সময় আয়নার সামনে পাওয়া যায়। এদের ঠোঁট রক্তের সমান লাল, বড়ো বড়ো নখ, রংবেরংয়ের চুল, মুখ সাদা পাউডারে লিপ্ত হয়। এদের রন্ধনশালায় প্রবেশ করা ও গৃহস্থালির টুকিটাকি কাজ করা একদমই পছন্দ নয়। কথায় কথায় "কি গো" --- "হ্যাঁ গো" করা এদের অভ্যাস বলে এদের আরেকটি নাম নেকচণ্ডীও বলে জানা যায়। বিউটি পার্লার এদের তীর্থস্থান।
সাবধানতা :- পতি নামক প্রাণীর জন্য এই প্রজাতির প্রাণী অত্যন্ত ভয়ঙ্কর এবং আক্রমণাত্মক হয়। এদের সময়ে সময়ে শাড়ি,উপহার, ফুল ও গয়না ইত্যাদি দিয়ে সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। কিন্তু মনে রাখা উচিৎ --- ওটা সাময়িক।
পত্নীর আরও কয়েকটি প্রকার নিম্নরূপ:-
অলস পত্নী :- নিজেই চা করে খাও, আর এক কাপ আমাকেও দিও...
ধমকীওয়ালী পত্নী :- ভালো করে শুনে রাখো..., এই ঘরে হয় তোমার মা থাকবে অথবা আমি...
ভবিষ্যৎবক্তা পত্নী :- আগামী সাত জন্মেও আমার মতো বউ পাবে না..., এই বলে রাখছি...
ইতিহাসপ্রেমী পত্নী :- তোমার খানদান কেমন সব জানি...
ভ্রান্তবুদ্ধি পত্নী :- তুমি কি 'মানুষ'.! না কি.?
সন্দিগ্ধমনা পত্নী :- আমার কোন সতীনের সঙ্গে এতোক্ষণ ধরে ফোনে কথা বলছিলে.?
অর্থশাস্ত্রজ্ঞ পত্নী :- কি এমন কুবেরের ধন কামিয়ে এনেছো যে তোমাকে রোজ রোজ চিকেন বিরিয়ানি খাওয়াবো..!!
ধার্মিক পত্নী :- ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দাও যে, আমার মতো বউ পেয়েছো....!!
হরে কৃষ্ণ!!!