কর্মক্ষেত্রে নিজের সফট স্কিল দিয়ে নজর কাড়বেন কীভাবে? জেনে নিন সহজ সাতটি সহজ উপায়
কর্মক্ষেত্রে নিজের সফট স্কিল দিয়ে নজর কাড়বেন কীভাবে? জেনে নিন সাতটি সহজ উপায়
কর্মক্ষেত্রে নিজের সফ্ট স্কিল দিয়েই অর্ধেক সময়ে মন জয় করা যায়। কিন্তু অধিকাংশ কর্মপ্রার্থীরাই সেদিকে নজর দেন না। তাঁরা মনে করেন সফট স্কিল তৈরি করা সবচেয়ে কঠিন কাজ। সমীক্ষকরা জানিয়েছেন নিয়োগের আগে চাকরি প্রার্থীদের সফট স্কিল ভীষণভাবে নজর করে কোম্পানিগুলি। বিশেষ করে ম্যানেজার পর্যায়ের নিয়োগের ক্ষেত্রে সফট স্কিল বেশি জরুরি।
ক্রেতাই ভগবান
ক্রেতাদের কাছে কর্মীরাই কোম্পানির মুখ। কাজেই তাঁরা যদি কর্মীদের ব্যবহারে সন্তুষ্ট না হন তাহলে কোম্পানির ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। কোম্পানির জিনিসের প্রতিও আগ্রহ কম হয়ে যায়। কাজেই সবার আগে ক্রেতাদের মন জয় করার চেষ্টা করতে হবে কর্মীদের। যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
যোগাযোগ রক্ষায় তৎপরতা
কোম্পানির ভাবমূর্তি ভাল রাখতে হলে ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ তৎপরতার মাধ্যমে বাড়াতে হবে। অর্থাৎ ক্রেতাদের কোনও অভিযোগ থাকলে সেটা গুরুত্ব দিয়ে শুনতে হবে। তার সমাধান তৎপরতার সঙ্গে করতে হবে। এছাড়া সময়ের মধ্যে তাঁদের পরিষেবা দিতে হবে। যা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করা হয়। সফট স্কিলের তালিকায় এই দুটি জিনিস অত্যন্ত জরুরি।
যোগাযোগ সহজ করা
কোনও কোম্পানিতে নিয়োগের আগে কর্মীদের কমিউনিকেশন স্কিল দেখা হয়ে থাকে। কারণ বেসরকারি সংস্থানে যোগাযোগই সবচেয়ে বেশি। এর উপর ভিত্তি করেই কোম্পানির সাফল্য এগোয়। সেকারণেই কর্মক্ষেত্রে নিজের কমিউনিকেশন স্কিলের উপর সবচেয়ে বেশি নজর দেওয়া জরুরি।
নমনীয় হতে শিখতে হবে
কর্মক্ষেত্রে আরেকটি অত্যন্ত জরুরি বিষয় নমনীয় হতে শেখা। কোন সংস্থার হয়ে কাজ করার সময় অন্য সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করতে গেলে নমনীয় হওয়া জরুরি। অর্থাৎ কোম্পানিকে চাকরির জন্য বেতন নিয়ে যেভাবে নমনীয় হওয়া জরুরি। কারণ এই নমনীয় বা প্রভাবিত করার দক্ষতার উপরেই নির্ভর করে কোম্পানির নতুন কোনও চুক্তি পাওয়া।
টাইম ম্যানেজমেন্ট
কোন কাজ কখন করবেন তার সময় ঠিক করাও অত্যন্ত জরুরি। যাকে ইংরেজিতে বলা হয় টাইম ম্যানেজমেন্ট। কারণ একাধিক কাজ কমসময়ে সঠিক ভাবে করতে পারাটাই দেখা হয় সংস্থার ক্ষেত্রে। সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করাটা অত্যন্ত জরুরি। তার সঙ্গে কম সময়ে নির্ভুল কাজ করতে শিখতে হবে।
ক্রেতার মনোভাব বুঝতে হবে
কোনও কোম্পানি কী চাইছেন সেটা বুঝতে হবে। সবচেয়ে জরুরি বিষয় হল ক্রেতা চাহিদা দেখেই বুঝে নিতে হবে তিনি কী চাইছেন। সেই মত তাঁকে গাইড করতে হবে। শুধু ক্রেতার মনোভাব বোঝাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কর্তৃপক্ষ কী চাইছে সেটাও বুঝতে হবে। পরিশ্রমের পাশাপাশি এটা বোঝাও অত্যন্ত জরুরি।
কথা রাখার মানসিকতা
কর্মক্ষেত্রে আরেকটি জরুরি বিষয় কথা রাখার মানসিকতা। সংস্থা কর্মক্ষেত্রে যে টার্গেট করে দিয়েছে সেই লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। এমন মানসিকতা রাখতে হবে। একই সঙ্গে চাপ নিয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ রখার মানসিকতা রাখাও জরুরি। একসঙ্গে প্রভাবিত করার ক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে নিজের মধ্যে।