ই এডুকেশনের পর ফুড ডেলিভারিও বন্ধ করল অ্যামাজন, শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর
ই এডুকেশনের পর ফুড ডেলিভারিও বন্ধ করল অ্যামাজন, শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর
আমাজন ইন্ডিয়ার ফুড ডেলিভারি সংস্থা আমাজন ফুড। তাঁরা আগামী মাসেই তাদের যে কাজ কর্ম তা বন্ধ করতে চলেছে। এমনটাই খবর মিলছে সূত্রের। বছর দুয়েক আগে তাদের যাত্রা শুরু করেছিল আমাজন ফুড। টক্কর দিতে চেয়েছিল জম্যাটো এবং সুইগিকে। যদিও তাদের এই ব্যবসা সেটা সীমাবদ্ধ ছিল বেঙ্গালুরুতে। তার পাশাপাশি দেশের অনান্য স্থানে এই ব্যবসা চালু করেছিল এই সংস্থা।
বন্ধ হয়েছে এড টেকও
অ্যামাজন এই খবর নিজেই জানিয়ে দিয়েছে এবং খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছে। তাঁরা জানিয়েছে যে বার্ষিক অপারেটিং প্ল্যালিং রিভিউয়ের জন্য এই কাজ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কোম্পানি হাজার জনের বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করে দেয় এবং এড টেক যে সার্ভিস রয়েছে তা এই মাসের শুরুর দিকেই বন্ধ করে দেয়। আর তারপরে তাঁরা এবার বন্ধ করতে চলেছে এই ফুড ডেলিভারির অংশও।
কী বলছে অ্যামাজন?
অ্যামাজন জানিয়েছে যে ডিসেম্বরের ২৯ তারিখে তাদের এই ফুড ডেলিভারির অংশটি বন্ধ করে দেবে ২৯ ডিসেম্বর থেকে। তাঁরা জানিয়েছে যে, "আমরা এই যে সিদ্ধান্ত তা মোটেই সহজ ভাবে নিচ্ছি না। আমরা এই বিষয়টি বন্ধ করে দিতে চাইছি। আমরা আমাদের যে বর্তমান গ্রাহক রয়েছেন এবং যারা অংশীদার রয়েছেন তাদের যত্ন নিতেই এই কাজ করেছি। এই যে পরিবর্তন হচ্ছে তার জন্য আমরা আমাদের কর্মীদের সাহায্য করছি। অ্যামাজন এখন থেকে অনলাইনে যে কেনাকাটার যে দিক রয়েছে সেই দিকে বেশি নজর দিতে চাইছে। এই কাস্টমারদের আরও ভালো সুবিধা দিতে চাইছে। তাই এই কাজ করছে। সবথেকে ভালো দাম কি দেওয়া যায় তার দিকেও নজর রাখছে সংস্থা"
সেই সময়ে কী বলেছিল সংস্থা?
যখন অ্যামাজন ফুড যাত্রা শুরু করেছিল। সেটা ছিল ২০২২ সালের মে মাস। সংস্থা বলেছিল যে কাস্টমার চেয়েছিল যে এই অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত হোক ফুড ডেলিভারি এবং আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। তবে অ্যামাজনের যে মূল অ্যাপ সেখানে গ্রসারির একটা আলদা বিভাগ এমনিতেই রয়েছে। অ্যামাজনের ওষুধ ডেলিভারিও দেওয়া হয়।
কবে এর যাত্রা শুরু হয়েছিল
অ্যামাজন ফুড এবং একাডেমি যাত্রা শুরু করেছিল ভারতে যখন তখন করোনা মারাত্মক ভাবে প্রভাব ফেলে রয়েছে। সেই সময় কাস্টমারদের এই ধরনের এমন সার্ভিসের দরকার ছিল। তাই ওই যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু ভারতের মার্কেট সুইগি এবং জোমাটো ধরে বসেছিল। বিগ বাস্কেট এবং ডুনজোও ফুড ডেলিভারির যে কাজ সেটাও জারি রয়েছে। এর মাঝে আবার অ্যামাজন। তাই ব্যবসা সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি। এড টেকের দিক দিয়ে দেখলে বাউজুস ভারতের মার্কেটের বড় অংশ ধরে রেখেছে। সেখানে অ্যামাজনের ব্যাবসা করা চাপ হয়ে গিয়েছিল। ব্যবসায় লড়াই করতে পারেনি অ্যামাজন তাই সরে গেল বাজার থেকে।
একই ভাবে ব্যবসা না করতে পেরে সংস্থা রি-ব্র্যান্ডিং করেছিল উবের ইটসওও। অনেক ব্র্যান্ড আবার বন্ধও হয়ে যায়। আবার কিছু এমন ব্র্যান্ডকে কিনে নেয় জোম্যাটো। তাদের মধে অন্যতম হল গ্রোফার। এটি নতুন নামে আসে। নাম দেওয়া হয় ব্লিঙ্ক ইট।
Changes From 1st December: ১ ডিসেম্বর থেকে রেল-ব্যাঙ্ক-এলপিজির ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন