যে কোনও মুহূর্তে চলে যেতে পারে চাকরি! অ্যামাজনে ১০,০০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা
যে কোনও মুহূর্তে চলে যেতে পারে চাকরি! অ্যামাজনে ১০,০০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা
কেউ নিরাপদ নয়, যে কোনও মুহূর্তে যে কোনও ব্যক্তির বরখাস্ত নোটিশ আসতে পারে, অ্যামাজনের অভ্যন্তরীণ চ্যাট বক্সে কর্মীদের। এমন মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে। চাকরি হারানোর প্রবল আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে অ্যামাজনের কর্মীরা।
চাকরি হারানোর আতঙ্কে অ্যামাজনের কর্মীরা
অ্যামাজনের হার্ড-হিট ডিভাইসের প্রধান ডেভ লিম্প নিজের বিভাগের কর্মীদের কাছে একটি নোটিশ পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, কর্মী ছাঁটাইয়ের ফলে সবাই খুব বিপদের মধ্যে পড়ছেন। যাঁরা চাকরি খুঁজে পাচ্ছেন না, তাঁদের জন্য এই সময়টা অত্যন্ত কঠিন। ইতিমধ্যে অ্যামাজনের কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যামাজনের প্রাক্তন এক কর্মী বলেছেন, সংস্থার রোবটিক বিভাগের সকলকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়ে অ্যামাজনের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।
কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে অ্যামাজন
প্রবল অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন অ্যামাজনের কর্মীরা। পরস্পরের সন্দেহ বাড়ছে। তারসঙ্গে বাড়ছে চাকরি হারানোর ভয়। জানা গিয়েছে, অ্যামাজনের কর্মীরা এক ওপরের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছেন, কাকে বরখাস্ত করা হতে পারে। অ্যামাজনের কর্মীরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সংস্থার মানব সম্পদ বিভাগের তরফে তাঁদের ইমেলে আর্থিক সঙ্কটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অ্যামাজনের বেশ কিছু কর্মী অভিযোগ করেছেন, যে কোনো মুহূর্তে তাঁদের বরখাস্ত করা হতে পারে। প্রবল মানসিক চাপ নিয়ে তাঁরা কাজ করছেন। যার ফলে তাঁরা কাজে মন বসাতে পারছেন না।
প্রবল অনিশ্চয়তার মধ্যে সংস্থার কর্মীরা
ব্লুমার্গের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অ্যামাজনের কর্মীরা শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের কাছ থেকে কোনও সঠিক তথ্য পাচ্ছে না। যার জেরে অ্যামাজনের কর্মীদের মধ্যে প্রবল অনিশ্চয়তা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মীরা আশঙ্কা করছেন, সারা বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা কর্মীদের বরখাস্ত করছেন। এই পরিস্থিতিতে অ্যামাজন কর্মীদের বরখাস্ত করবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে কর্মীরা মনে করছেন, কোন বিভাগ থেকে কতজনকে বরখাস্ত করা হতে পারে, এই বিষয়ে একটা ধারণা পেলে মানসিক উত্তেজনা হয়তো খানিকটা কমতো।
সংস্থার শেয়ারের মূল্যের পতন
গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে অ্যামাজনের আর্থিক বৃদ্ধি হয়েছে। জানা গিয়েছে, অ্যামাজান নতুন গুদাম, ক্লাউড-কম্পিউটিং ডেটা সেন্টারে বিলিয়ন বিলিয়ন খরচ করেছে। কিন্তু অ্যামাজনের বর্তমানে শেয়ারের মূল্যের দ্রুত পতন হচ্ছে। ২০২২ সালে এখনও পর্যন্ত অ্যামাজনের শেয়ারের ৪২ শতাংশ পতন হয়েছে। অ্যামাজনের শেয়ার মূল্যের পতনের সময় থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, সংস্থাটি ব্যয় কমাতে পারে। ১০,০০০ কর্মীকে অ্যামাজন বরখাস্ত করতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
আয় ও ব্যয়ের সামঞ্জস্য রাখতে কর্মী ছাঁটাই
ইতিমধ্যে অ্যামাজনের অনেক তরুণ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। তবে তরুণরা দ্রুত কোথাও চাকরি খুঁজে পাবেন বলেই অ্যামাজনের তরফে জানানো হয়েছে। অ্যামাজনের মুখপাত্র কেলি নান্টেল বলেন, অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার কমে গিয়েছে। সংস্থাটি আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য রাখতেই বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, গত কয়েক বছরে অ্যামাজন ব্যাপক নিয়োগ করেছে।
আমি একজন মুখ্যমন্ত্রী, আমি কি পালিয়ে যাব? ইডির তলবে বিজেপির ষড়যন্ত্র দেখছেন হেমন্ত সোরেন