১০, ১০০ বা ৫০০ টাকার নোট ছাপাতে কত খরচ হয়? কোন নোটের ‘দাম’ সবথেকে বেশি, জানেন
১০, ১০০ বা ৫০০ টাকার নোট ছাপাতে কত খরচ হয়? কোন নোটের ‘দাম’ সবথেকে বেশি, জানেন
কখনও ভেবে দেখেছেন- ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ২০০ বা ৫০০ টাকার নোট ছাপাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই-এর কত খরচ হয়? স্বাভাবিকভাবে মনে হতে পারে, নোটগুলি ছাপাতে একই খরচ হয়। কিন্তু না, বিভিন্ন মূল্যের নোট ছাপানোর সঠিক দাম পরিবর্তিত হয়। কিন্তু কতটা পরিবর্তিত, আর খরচই বা কত, জেনে নেওয়া যাক।
কোন নোট ছাপানোর খরচ কত বেড়েছে
১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ২০০ বা ৫০০ টাকার নোট ছাপতে ব্যয় ক্রমেই বেড়ে চলেছে। প্রতি বছর নোট ছাপার দাম বাড়ছে। এর ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য নোট বিতরণ ব্যয়বহুল হয়ে চলেছে। ২০২১-২২ আর্থিক বছরে ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা এবং ২০০০ টাকার নোটের ছাপানোর খরচ কিছুটা বেড়েছে। ৫০০ টাকার নোটের খরচ সে অর্থে পরিবর্তন হয়নি। গত বছরের দাম থেকে ১০ টাকার নোটের খরচ নেমে এসেছে।
১০ ও ২০ টাকার নোটের মুদ্রণ খরচ
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নোট মুদ্রান লিমিটেড বা বিআরবিএনএমএল থেকে তথ্যের অধিকার আইনে বা আরটিআইয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ১০ টাকার নোটের বিক্রয় মূল্য ছিল ১০০০ পিসের জন্য ৯৬০ টাকা। সেই হিসেবে একটি ১০ টাকার নোটের দাম দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯৬ পয়সা। একইভাবে ২০ টাকার নোটের খরচ প্রতি ১০০০ পিসে ৯৫০ টাকা। যার অর্থ হল একটি ২০ টাকার নোটের দাম ৯৫ পয়সা। এবং ১০ টাকার নোটের চেয়ে এক পয়সা কম।
বিভিন্ন মূল্যের নোট ছাপানোর খরচ একনজরে
বিভিন্ন
মূল্যের
নোট
ছাপাতে
প্রতি
১০০০
পিস
মুদ্রণের
মূল্য
নীচে
দেওয়া
হল।
•
৫০
টাকার
নোট
১১৩০
টাকা
অর্থাৎ
১টি
৫০
টাকার
নোটের
খরচ
১.১৩
টাকা।
•
১০০
টাকার
নোট
১৭৭০
টাকা
অর্থাৎ
১টি
১০০
টাকার
নোটের
খরচ
১.৭৭
টাকা।
•
২০০
টাকার
নোট
২৩৭০
টাকা
অর্থাৎ
১টি
২০০
টাকার
নোটের
খরচ
২.৩৭
টাকা।
•
৫০০
টাকার
নোট
২২৯০
টাকা
অর্থাৎ
১টি
৫০৫
টাকার
নোটের
খরচ
২.২৯
টাকা।
মুদ্রা ছাপানোর জন্য বরাদ্দ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের
৫০ টাকার বিক্রয়মূল্য ২০২১ অর্থবছরে খরচ থেকে সর্বোচ্চ ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, বিজনেসলাইনের সূত্রে পাওয়া আরটিআই তথ্য অনুসারে, ২০ টাকার নোট ছাপানোর খরচ ১ শতংশের সামান্য বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সামগ্রিকভাবে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গত আর্থিক বছরে মুদ্রা ছাপানোর জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। এই সংখ্যাটি ছিল ডেমোনিসেশনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। কারণ সে বছর কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছিল।
মঙ্গল গ্রহের গঠন তত্ত্বকেই চ্যালেঞ্জ, লাল গ্রহের উল্কা বিশ্লেষণ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য গবেষণায়