কিংফিশার এয়ারলাইন্সের কর্মীদের মাইনে মেটাবেন বিজয় মালিয়া, কীভাবে জানেন
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাঠানো একটি ৫ পাতার চিঠি প্রকাশ করলেন পলাতক ব্যবসায়ী বিজয় মালিয়া। তাঁর দাবি ২০১৬-তেই তিনি ওই চিঠি পাঠিয়েছিলেন। চিঠিতে মালিয়া বলেছেন, তিনি ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির বকেয়া সব ঋণ মেটানোর সঙ্গে সঙ্গে কিংফিশার এয়ারলাইন্সের কর্মীদের বকেয়া মাইনেও মিটিয়ে দেবেন। মালিয়ার দাবি সেই চিঠির কোনও জবাব মেলেনি।

বিজয় মালিয়া ভারত থেকে পালিয়ে আপাতত যুক্তরাজ্যে ঠাঁই নিয়েছেন। সেখান থেকেই ওই চিঠি প্রকাশ করে তিনি দাবি করেছেন, ২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল তিনি এই চিঠি প্রধানমন্ত্রী মোদী ও অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলির কাছে পাঠিয়েছিলেন। চিঠিতে তিনি বলেন মাইনে লা পাওয়া কিংফিশারের হাজার হাজার কর্মীর দুঃখ তিনি বোঝেন। মালিয়া জানান ২০১৩ সালে কর্ণাটক হাইকোর্টে জমা রাখা ১২৮০ কোটি টাকার যে সুদ আসবে, তা দিয়েই কর্মীদের বকেয়া মাইনে মেটাবেন।
মালিয়ার আরও দাবি ২০১২ সালে ডিজিসিএ, কিংফিশার এয়ারলাইন্সের লাইসেন্স বাতিল করে। কিন্তু তারপরেও তিনি কর্মীদের মাইনে মেটেবার চেষ্টা করে গিয়েছেন। ২০১৪ সালে কিংফিশার এয়ারলাইন্সের কর্মীদের বাকি থাকা মাইনের একটা অংশ নেটাবার জন্যও ইউবি গোষ্ঠী আবেদন করেছিল। তার শুনানি এখনও হয়নি বলেও মঙ্গলবার তিনি জানান।
তিনি বলেন, লোকের সত্যিটা জানা উচিত বলেই এই চিঠি তিনি প্রকাশ্যে এনেছেন। তাঁর বক্তব্য তিনি সবসময়ই কর্মীদের ভাল চেয়েছেন। ইউবি গ্রুপের রমরমার ,সময় ৬৬ হাজারেরও বেশি কর্মী কাজে নিযুক্ত হয়েছিলেন। তাঁরা ২০-৩০ বছর ধরে কাজ করেছেন। যদি তিনি কর্মীদের দেখাভালই না করতেন, তাহলে এতদিন ধরে কর্মীরা ইউবি গ্রুপে কাজ করত না।