জি২০-তে মোদী, আর তখনই জিডিপি নিয়ে প্রকাশ পেল এমনই খারাপ ফল
দেশজুড়ে এখন ভোটের আবহ। ৫ রাজ্যের ভোট মিটলেই নতুন বছরে ওড়িশার ভোট। এর পিছন পিছন রয়েছে লোকসভা নির্বাচন।
দেশজুড়ে এখন ভোটের আবহ। ৫ রাজ্যের ভোট মিটলেই নতুন বছরে ওড়িশার ভোট। এর পিছন পিছন রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। ভোট বাজারে এগিয়ে থাকতে ইতিমধ্যেই প্রতিটি রাজনৈতিক দল নানাভাবে ইস্যুভিত্তিক প্রচারে নেমেছে। যারমধ্যে বিজেপি যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে কংগ্রেসও। কিন্তু, এই পরিবেশে বিজেপি-র চিন্তা বাড়িয়ে প্রকাশ পেল জিডিপি রিপোর্ট। ত্রৈমাসিক এই ফলে যে রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে জিডিপি-র হার নেমে গিয়েছে।
শিল্প ও কষিতে মন্দার কারণেই জিডিপি-র হার ৭.১ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। এমন কারণই দর্শানো হয়েছে এই ত্রৈমাসিক রিপোর্টে। প্রথম তিন মাসে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৮.২ শতাংশ। ফলতঃ আত্মবিশ্বাসী ছিল সরকার থেকে দেশের শিল্পমহল। কিন্তু, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি-র হার এতটা নেমে যাবে তা ধারনার বাইরেই ছিল। বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দামে বৃদ্ধি, টাকার দামে রেকর্ড পতন এবং কৃষিতে মন্দার কারণে যে জিডিপি-র হার কমতে পারে তার একটা সুক্ষ আশঙ্কা ছিল। যদিও, এশিয়াতে এখনও জিডিপি-র হারে চিনের থেকে এগিয়ে রয়েছে ভারত। আর্থিক বর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক রিপোর্ট-এ প্রকাশিত খারাপ ফল-এর পরও ভারতকে টপকাতে পারেনি চিন।
২০১৭ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরের থেকে জিডিপি-র ফল অবশ্য ২০১৮-র জুলাই-সেপ্টেম্বরে অনেকটাই ভালো। কারণ বছর আগে এই সময়টায় জিডিপি-র হার ছিল ৬.৩ শতাংশ। সেখানে এবার ৭.১ শতাংশ হয়েছে।
অর্থনীতিবিদদের মহলেও জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের জিডিপি-র হার নিয়ে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল তাতে একদল দাবি করেছিলেন জিডিপি-র এই হার থাকবে ৭.৫ শতাংশএর আশপাশে। আবার এক দল অর্থনীতিবিদ পূর্বাভাস দিয়েছিল যে ৭.৮ শতাংশের আশপাশে থাকবে গড় বৃদ্ধির হার।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস রয়েছে যে চলতি আর্থিক বছরের শেষে জিডিপি-র হার দাঁড়াবে ৭.৪ শতাংশে। কিন্তু, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের ত্রৈমাসিক ফল খারাপ হওয়ায় সেই লক্ষ্য়ে পৌঁছানো নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বলেই এখন মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।