ধনীরা নয়, সবথেকে বেশি কর দেন সেই ৫০ শতাংশ, যাঁদের আয় কম: Oxfam রিপোর্ট
ভারতীয়দের কর দেওয়ার ক্ষেত্রে চাঞ্চল্যকর একটি রিপোর্ট সামনে এনেছে অক্সফাম। তাদের "সার্ভাইভাল অফ দ্য রিচেস্ট: দ্য ইন্ডিয়া স্টোরি" ইস্যুতে কর দেওয়ার ক্ষেত্রে ভাগ দেখানো হয়েছে। অক্সফাম জানাচ্ছে, কীভাবে দেশের জনসংখ্যার সবচেয
ভারতীয়দের কর দেওয়ার ক্ষেত্রে চাঞ্চল্যকর একটি রিপোর্ট সামনে এনেছে অক্সফাম। তাদের "সার্ভাইভাল অফ দ্য রিচেস্ট: দ্য ইন্ডিয়া স্টোরি" ইস্যুতে কর দেওয়ার ক্ষেত্রে ভাগ দেখানো হয়েছে। অক্সফাম জানাচ্ছে, কীভাবে দেশের জনসংখ্যার সবচেয়ে দরিদ্র 50 শতাংশ পরোক্ষ কর বা উপভোক্তা কর দিচ্ছে।
শুধু তাই নয়, রিপোর্ট অনুসারে, কেন্দ্র এবং রাজ্য যে মোট জিএসটি সংগ্রহ করে থাকে তার ৬৪ শতাংশই আসে সেই নিম্ন আয়কারী ৫০ শতাংশের কাছ থেকে। মধ্যমানের রোজগার করে থাকেন এমন মানুষদের কাছ থেকে ৪০ শতাংশ জিএসটি আসে। এমনটাই রিপোর্টেই উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও জিএসটির মাত্র তিন থেকে চার শতাংশ আসে সেই সমস্ত মানুষদের কাছে যে ১০ শতাংশ সবথেকে ধনী বলে গন্য করা হয়।
২০২১ থেকে ২২ সালে মোট জিএসটি কালেকশন ( কেন্দ্র এবং রাজ্য) হয়েছে ১৪ লাখ কোটির কিছু বেশি। তবে ২০২২ থেকে ২৩ মোট জিএসটি সংগ্রহ ১৮ লাখ কোটি টাকা পৌঁছে যেতে পারে। অক্সফাম রিপোর্ট অনুসারে পরোক্ষ করের হিসাবে সবথেকে বেশি কর দিয়ে থাকে নিম্ন আয়ের ৫০ শতাংশ মানুষ। ধনিতম ১০ শতাংশের তুলনায় ওই ৫০ শতাংশ মানুষ পরোক্ষ কর দিয়ে থাকে অন্তত ছয় শতাংশ মানুষ।
এই বিষয়ে উদাহারণ স্বরূপ বলা হচ্ছে, ৫০ শতাংশ মানুষের তাদের আয়ের 6.7% শতাংশ খাদ্য এবং অন্যান্য আইটেমের জন্য করের জন্য ব্যয় করে থাকে। অন্যদিকে মধ্যবিত্তের ৪০ শতাংশ তাঁদের রোজগারের অর্ধেক অংশ খাওয়া এবং তাদের আয়ের 3.3% অন্যান্য আইটেমগুলিতে ব্যয় করে থাকে।
শুধু তাই নয়, রিপোর্ট আরও বলছে, যে ১০ শতাংশ বড়লোক রয়েছে তাঁরা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিতে তাদের আয়ের মাত্র 0.4% ব্যয় করে থাকে। এই অবস্থায় পর্যবেক্ষকরা রিপোর্টকে হাতিয়ার করে বলছেন, সরকারের উচিৎ অত্যাবশ্যকীয় আইটেমগুলির উপর জিএসটি স্ল্যাবগুলি কমানো। যা বেশিরভাগ দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত মানুষ যাতে ব্যবহার করতে পারে।
অন্যদিকে বিলাসবহুল আইটেমের উপর কর বৃদ্ধি করার কথাও বলা হচ্ছে। গরীব মানুষের যাতে বোঝা কমে সেদিকেই বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এই অবস্থায় যে সমস্ত ভারতীয় বিলিয়নেয়ার আছেন তাঁদের উপর আরও বেশি করে সম্পদ কর বসানোর কথা বলা হচ্ছে অক্সফামের রিপোর্টে। আর তা দিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন সম্ভব বলে অক্সফামের রিপোর্টে উল্লেকহ করা হয়েছে।