ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় থাকা দেশের অর্থনীতিতে বড় আঘাত ওমিক্রন
ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় থাকা দেশের অর্থনীতিতে বড় আঘাত ওমিক্রন
দ্বিতীয় ঢেউয়ের শেষে দেশজুড়ে কমতে শুরু করেছিল কোভিড সংক্রমণ। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছিল দেশ। ২০২০ সালের মার্চ থেকে ঝুঁকতে থাকা অর্থনীতিও ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল। তবে সেসব সুখের দিন এখন অতীত। ২০২২ এর শুরু থেকে নতুন করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দেশজুড়ে।
কোথায় বেশি সংক্রমণ?
মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, কেরল, তামিলনাড়ুতে রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। বুধবার দৈনিক সংক্রমণ মঙ্গলবারের চেয়ে ৫৫ শতাংশ বেশি৷ বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ওমিক্রনের দাপটে আগামী কিছুদিনের মধ্যে এই সংখ্যা বেশ কয়েকগুণ বাড়বে৷ এই সংক্রমণের জেরে বহু রাজ্যই আংশিক লকডাউনের বিধিনিষেধ জারি করেছে। সপ্তাহান্ত এবং নাইট কার্ফু জারি করেছে সেই রাজ্য প্রশাসনগুলি। যাতে বড় কোনও জন সমাগম না হয়, তার দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি!
যথারীতি এই বিধিনিষেধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অর্থনীতি। রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে, বিনোদন থ্বকে শুরু করে ঘোরাঘুরি। এই সমস্ত ক্ষেত্র প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছে৷ গত বছরের শেষে অনেকাংশেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল রেস্টুরেন্টগুলি। বর্ষশেষের আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে দেদার খানাপিনা করেছিলেন মানুষ। কিন্তু সাম্প্রতিক এই বিধিনিষেধে মাথায় হাত পড়েছে রেস্তোরাঁ মালিকদের। দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর জিম-স্পা সহ অন্যান্য রিক্রিয়েশন সেন্টারও খুলেছিল। আংশিক লকডাউনে বন্ধ করা হয়েছে সেগুলিকে। বহু শহরে সিনেমা হলও বন্ধ করা হয়েছে। বিভিন্ন শহরে যে সমস্ত শো হওয়ার কথা ছিল, করোনার বাড়বাড়ন্তে তার অধিকাংশই বাতিল করা হয়েছে।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রনের এই বাড়াবাড়িতে ভারতের অর্থনীতি ধাক্কা খেতে বাধ্য৷ যদিও ভারত এই ঢেউকে কীভাবে সামলায়, তার ওপর নির্ভর করবে অর্থনৈতিক প্রভাব। যদি এক মাসের মধ্যে তুঙ্গে ওঠে সংক্রমণ। তাহলে ততটাও যায় আসবে না। কিন্তু ধীরে ধীরে যদি আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ে, তাহলে নিস্তার নেই। অর্থনৈতিক ভাবেও ফল ভোগ করতেই হবে। বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লেও তাতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা খুবই কম। ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। মানুষ কোভিডাক্রান্ত হলেও ভীষণ অসুখে ভুগছেন না। ওমিক্রন অন্যান্য রোগ ডেকে আনছে না। তবে সমস্যা ভারতের বিপুল জনসংখ্যা হওয়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের জনসংখ্যা এতটাই যে, এভাবে ছড়াতে থাকলে ওমিক্রন গ্রাস করে ফেলবে গোটাদেশকে।