বিশ্ব জুড়ে আর্থিক সঙ্কটের আশঙ্কার মধ্যেই ভালো পরিস্থিতিতে রয়েছে ভারত, দাবি আইএমএফের
বিশ্ব জুড়ে আর্থিক সঙ্কটের আশঙ্কার মধ্যেই ভালো পরিস্থিতিতে রয়েছে ভারত, দাবি আইএমএফের
বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। একাধিক দেশে মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে আর্থিক সঙ্কোচন দেখা দিয়েছে। ভারতের প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কার দেউলিয়ার পথে। আর্থিক সঙ্কটে রয়েছে পাকিস্তান। এমনকী ব্রিটেনেও মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশা আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, আমেরিকায় আর্থিক মন্দা দেখা দিতে পারে। সারা বিশ্ব যখন আর্থিক মন্দার দিকে রয়েছে, ভারত তখন সুবিধাজনক অবস্থানেই রয়েছে। ভারতের আর্থনৈতিক বৃদ্ধি হচ্ছে এই পরিস্থিতিতেও বলে জানালেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের এক আধিকারিক।
বিশ্ব জুড়ে আর্থিক সঙ্কটের আশঙ্কা
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরের ডিরেক্টর কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন বলেন, আপনারা যদি বিশ্বের অর্থনীতির দিকে তাকান, তাহলে আপনাদের কাছে পরিস্থিতি অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে খুব শ্লথ গতিতে আর্থিক বৃদ্ধি হচ্ছে। এমনকী বিশ্বের অধিকাংশ দেশে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। সংবাদসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি, যেসব দেশে ব্যাপক পরিমাণে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে, তাদের এক তৃতীয়াংশ দেশ এই বছরের শেষের দিকে বা আগামী বছরে আর্থিক মন্দার দিকে চলে যাবে।
ভারতের অর্থনীতি আশা জোগাচ্ছে
কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন মন্তব্য করেন, বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে শুরু করেছে। বেশ কিছু দেশে আর্থিক বৃদ্ধি হচ্ছে। কিন্তু খুব ধীর গতিতে। এই পরিস্থিতিতে ভারত ভালো অবস্থানে রয়েছে। ভারতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় বেশ ভালো বলে তিনি মনে করছেন। তবে এখনও ভারতকে বেশ কিছু বাধার মুখে পড়তে হতে পারে অর্থনৈতিক দিক থেকে। তবে তিনি আশা করছেন, ভারত সেই বাধা কাটিয়ে অর্থনৈতিক দিক থেকে উন্নতি করবে।
বিশ্বের অর্থনীতি আরও সঙ্কুচিত হবে
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউট লুকে দেখিয়েছে, ২০২১ সালে ভারতের বৃদ্ধি যেখানে ৮.৭ শতাংশ ছিল, ২০২২ সালে তা ৬.৮ শতাংশে এসেছে। ২০২৩ সালে সেটাই ৬.১ শতাংশে আসবে বলে তিনি মনে করছেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে বিশ্বের অর্থনীতি এক তৃতীয়াংশের বেশি সঙ্কুচিত হবে। বিশ্বের তিনটি বৃহত্তম অর্থনীতি আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চিন স্থবির হয়ে পড়বে। আর্থিক সঙ্কোচনের বিশ্ব এখনও সব থেকে খারাপ সময় দেখেনি। ২০২৩ সালে সারা বিশ্ব আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বিশ্বে আর্থিক সঙ্কটের কারণ
আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভায় বিশ্ব জুড়ে আর্থিক সঙ্কটের কারণ ব্যাখা করা হয়েছে। এশিয়ার একাধিক দেশে মুদ্রাস্ফীতি ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক কঠোর হাতে তা মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে। দ্বিতীয় কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে গিয়েছে। বিশ্বের একাধিক জায়গায় খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তৃতীয় কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, চিনের অর্থনীতি। বলা হয়েছে, চিনের অর্থনীতি খুব ধীর গতিতে এগোচ্ছে। যার জেরে বিশ্বে তার প্রভাব পড়ছে।
রাজনীতির শিকার! দিল্লি দাঙ্গার সময় শিরোনামে আসা বিচারকের স্থানান্তরনে মিলল না অনুমোদন