পেট্রোলিয়ামমন্ত্রীর আশ্বাসই সার, জিএসটির আওতায় এখুনি নয় জ্বালানি, কারণটা জেনে নিন
এখুনি পেট্রোল-ডিজেলকে জিএসটি-র আওতাভুক্ত করার কোনও পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের,আয় কমে যাওয়ার আশঙ্কায় বিরোধিতা রাজ্যগুলিরও।
পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান পেট্রোল- ডিজেলকে জিএসটি-র আওতায় আনার কথা বলছেন ঠিকই কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে সেই সম্ভাবনা নেই বললেই চলে । এবং তার প্রধান কারণ রাজ্যগুলির বিরোধিতা। পেট্রোল- ডিজেলের ওপর কর থেকে রাজ্যগুলি বিপুল অর্থ উপার্জন করছে। মূলত সেই কারণে কেন্দ্র ও রাজ্য দুই পক্ষই জ্বালানিকে জিএসটি-র আওতায় আনতে রাজি নয়।
[আরও পড়ুন:দেবীপক্ষে সুখবর, দিওয়ালিতেই কমতে পারে পেট্রোল-ডিজেলের দাম ]
পেট্রোল ও ডিজেলকে জিএসটি-র আওতায় আনা হলে দাম যে কমবে তাতে সন্দেহ নেই। এমনকী পেট্রোল- ডিজেলকে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশের স্ল্যাবে আনা হলেও বর্তমান দামের তুলনায় একধাক্কায় প্রায় ৫০ শতাংশ দাম কমে যাবে। এমনিতে জ্বালানিকে জিএসটি-র আওতায় আনতে কোনও আইনি সমস্যা নেই। এমনকী জিএসটি কাউন্সিলও জ্বালানিকে তালিকাভুক্ত করেছে। কিন্তু রাজ্যগুলির কাছে এই মুহূর্তে পেট্রোল- ডিজেল হল সোনার ডিম দেওয়া মুর্গি। মাসে একেকটি রাজ্য পেট্রোল- ডিজেলের কর থেকে হাজার কোটিরও বেশি লাভ করে।
কর্নাটকে বর্তমানে সেন্ট্রাল এক্সাইজ ও রাজ্যের বিক্রয় কর চাপিয়ে পেট্রোলের ওপর মোট কর চাপানো হয় প্রায় ৯৭.৫৪ শতাংশ। কিন্তু জিএসটি-র আওতাভুক্ত হলে পেট্রোলে প্রায় ৫০ শতাংশ লোকসান হবে রাজ্যের। ইতিমধ্যেই পেট্রোল- ডিজেলে এন্ট্রি ট্যাক্স তুলে দিলে রাজ্যের প্রায় ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এবিষয়ে অল ইন্ডিয়া পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এম প্রভাকর রেড্ডি জানিয়েছেন, ধর্মেন্দ্র প্রধান যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে নিঃসন্দেহে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। তবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি এখুনি এই প্রস্তাবকে বাস্তবায়িত হতে দেবে না কারণ কেন্দ্র-রাজ্য় দুই পক্ষই জ্বালানি একটা বড় আয়ের সংস্থান। এবং জিএসটি বসিয়ে সেই আয়ের সংস্থানকে তারা বন্ধ করতে কখনই চাইবে না। রাজ্য সরকারগুলিও এখনও পেট্রোল- ডিজেলে জিএসটির জন্য প্রস্তুত নয় বলেই জানিয়েছেন তিনি।