প্রশস্ত হচ্ছে বেসরকারিকরণের দরজা, এনআরএলে থাকা ৬১% শেয়ার বিক্রির পথে ভারত পেট্রোলিয়াম
একবিংশ শতকের শুরুতে বাজপেয়ী জমানা থেকেই প্রশস্ত হয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের পথ। সেই দিকেই আরও একধাপ এগোল কেন্দ্র। ইতিপূর্বে ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (বিপিসিএল), শিপিং কর্পোরেশন (এসসিআই), কন্টেনার কর্পোরেশন (কনকর) সহ মোট পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় সরকারি অংশীদারিত্ব বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। একই পথে হেঁটে মঙ্গলবার ন্যুমালিগড় শোধনাগারে নিজের ৬১.৬৫% শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল ভারত পেট্রোলিয়াম। এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে অর্থনৈতিক মহলে।
সোমবার ন্যুমালিগড় শোধনাগারে (এনআরএল) বিপিসিএলের ৬১.৬৫% ইক্যুইটি শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত সামনে আসে। সূত্রের খবর, বিপিসিএল বোর্ড উক্ত শেয়ার অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড (ওআইএল) ও ইঞ্জিনিয়ারস ইন্ডিয়া লিমিটেড (ইআইএল)-কে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা গেছে, বেসরকারিকরণের ক্ষেত্রে এহেন শেয়ার বিক্রির ঘটনায় প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে অসম সরকারের।
স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে, বিক্রিবাটায় শেষ মুহূর্তে অসম সরকার হাত তুলে নিলেও থমকে যাবে না চুক্তি, বদলে দুই তেল সংস্থার জোটকে নির্দিষ্ট শেয়ার বিক্রি করে দেবে বিপিসিএল। বর্তমানে এনআরএলে সর্বোচ্চ শেয়ার রয়েছে বিপিসিএলের, ২৬% শেয়ার রয়েছে ওআইএলের এবং অসম সরকারের শেয়ারের প্রায় ১২.৩৫%।
এদিকে ভারত পেট্রোলিয়ামের বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়ার অংশ যে নয় এনআরএল, তা স্পষ্ট করেছে বিপিসিএল বোর্ড। যদিও তারপরেও থামছে না জল্পনা। পাশাপাশি এহেন শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়ায় এখনও শেয়ারকর্তাদের সর্বশেষ সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষা করছে বিপিসিএল কর্তৃপক্ষ, খবর সূত্রের। অন্যদিকে অসম প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে যে, এনআরএলে শেয়ার বৃদ্ধির মাধ্যমে নিজের অবস্থান আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে অসম সরকার।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রায় অধিকাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের দিকে ঝুঁকেছে মোদি সরকার। স্বভাবতই এতে আশঙ্কার সিঁদুরে মেঘ দেখেছেন অর্থনীতিবিদরা। যদিও প্রশাসনিক আধিকারিকদের বক্তব্য, বিপিসিএলের বেসরকারিকরণের ফলে তেলের বাজারে কর্মসংস্থান বাড়বে। পাশাপাশি অশোধিত তেলের ক্ষেত্রে এনআরএলের অবস্থান যে আরও পোক্ত হবে, সে বিষয়েও জানান বিশেষজ্ঞরা।