হেঁসেলে আগুন! একধাক্কায় গার্হস্থ্য এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়ল ৫০ টাকা, পেরলো ১০০০-এর গণ্ডি
আরও একবার রান্নার এলপিজির মূল্যবৃদ্ধি। মাসের শুরুতে বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের মূল্যবৃদ্ধি করেছিল রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন সংস্থাগুলি। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে গার্হস্থ্য সিলিন্ডারের দাম সিলিন্ডার পিছু ৫০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে কলকাতায় ১৪.২ কেজির সিলিন্ডার দাম ১০০০ টাকা পেরিয়ে গেল।

১৪.২ কেজির সিলিন্ডার দাম পেরোল ১০০০ টাকা
এবারের দাম বৃদ্ধির পরে কলকাতায় ১৪.২ কেজির সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হয়েছে ১০২৬ টাকা। কেরলে ৯৫৬.৫০ টাকা থেকে দাম বেড়ে হয়েছে ১০০৬.৫০ টাকা।

মার্চের পরে মে মাসে দাম বৃদ্ধি
গত ১ মার্চ গার্হস্থ্য সিলিন্ডারের দাম সংশোধন করা হয়েছিল শেষবারের মতো। মধ্যে এপ্রিলে কোনও দাম বাড়েনি। মার্চে সময় সিলিন্ডার পিছু গ্যাসের দাম ৫০ টাকা করে বৃদ্ধি হয়েছিল। সেই সময় কলকাতায় ১৪.২ কেজির গার্হস্থ্য সিলিন্ডারের মূল্য হয় ৯৭৬ টাকা।

দাম কমেছে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের
পয়লা মে গভীর রাত থেকে সারা দেশে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি করা হয়। কলকাতার ক্ষেত্রে ১৯ কেজির সিলিন্ডারে দাম বৃদ্ধি হয়েছিল ১০৩.৫০ টাকা। ১৯ কেজির সিলিন্ডারের দাম হয় ২৪৫৫ টাকা। এর আগে গত ১ এপ্রিল বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম বেড়েছিল ২৫০ টাকা করে। এদিন অবশ্য বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম কমেছে ৯.৫০ টাকা। কলকাতায় ১৯ কেজির সিলিন্ডারের দাম গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৪৫.৫০ টাকা।

আপাতত পেট্রোল ও ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত
তবে দেশে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম আপাতত অপরিবর্তিত রয়েছে। ২২ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের তেল বিপণন সংস্থাগুলি ১৪ বার বাম বৃদ্ধি করেছিল। তারপর থেকে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সেই সময় বলা হয়েছিল আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণেই জ্বালানির দাম বৃদ্ধি।

সাধারণভাবে প্রতিমাসেই নতুন মূল্য নির্ধারণ
সাধারণভাবে প্রতি মাসের ১ তারিখে এপিজির দাম সংশোধন করে থাকে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি। তবে এবার মাসের শুরুতে গার্হস্থ্য ১৪.২ কেজির সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি করেনি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। শুক্রবার ডলার পিছু টাকার দাম কমে হয় ৭৬.৯৭ টাকা। পরে অবশ্য টাকার দাম কিছুটা বেড়ে হয় ৭৬.৮৫ টাকা। শুক্রবার আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেল প্রতি তেলের মূল্য ছিল ১১০ মার্কিন ডলার। যেতেতু দেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ জ্বালানি আমদানি করতে হয়, সেই কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি কিংবা টাকার দাম কমে যাওয়ার বিষয়টি দেশের জ্বালানির দামে প্রভাব ফেলে।
আয় বেড়েছে ১১.৫ শতাংশের মতো! এবছর ক্যাম্পাস থেকে ৫০ হাজার নিয়োগের পরিকল্পনা Cognizant-এর