পিএনবি ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারির তদন্তে নামল সিবিআই, এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের
পিএনবি-র তদন্তে নেমে পড়েছে সিবিআই। কারা এই ঘটনায় জড়িত দোষীদের খুঁজে বের করতে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
প্যাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক বুধবার জানায় তাদের মুম্বইয়ের একটি শাখায় হাজার হাজার কোটি টাকা জালিয়াতি হয়েছে। এবং তাতে বড় কেষ্টুবিষ্টুরা জড়িয়ে রয়েছে। পিএনবির এই দাবির পরে শোরগোল পড়ে যায়। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ দাবি করে ১১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জাল উপায়ে লেনদেন হয়েছে।
এই ঘটনায় কেলেঙ্কারির কথা জানালেও আলাদা করে কারও নাম জানায়নি পিএনবি। তবে তদন্তকারী সংস্থাকে বিষয়টি বিশদে জানানো হয়েছে। তারপরই তদন্তে নেমে পড়েছে সিবিআই। কারা এই ঘটনায় জড়িত দোষীদের খুঁজে বের করতে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
সিবিআইয়ের কাছে পিএনবি-র তরফে কোটিপতি ব্যবসায়ী নীরব মোদীর নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি একটি জুয়েলারি সংস্থার নামেও অভিযোগ করা হয়েছে। পিএনবি এই জালিয়াতির ঘটনায় ইতিমধ্যে ১০জন কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে।
নীরব মোদীকে আগেই পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের আর্থিক তছরুপের ঘটনায় জেরা করা হয়েছে। সেখানে জালিয়াতির পরিমাণ ২৮৩ কোটি টাকা। গত সপ্তাহেই এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়। তারপরই পিএনবি-র ঘটনা সামনে এল।
মাত্র দশদিনের মধ্যে একই ব্যক্তির দুটি আলাদা ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে জড়ানোর ঘটনা প্রকাশ্যে এল। ২০১৬ সালে ফোর্বসের ধনী ভারতীয়দের তালিকায় নীরব মোদী রয়েছেন। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১.৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
পিএনবির ঘটনা সামনে আসার পরে কেন্দ্রের টনক নড়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত ব্যাঙ্ককে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। বড় বাঘববোয়ালরা এই ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
পিএনবির ছাড়পত্র বা লেটার অব আন্ডারটেকিং দেখার পরই নীরব মোদীকে ঋণ দিতে রাজি হয়েছিল ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক। কীভাবে তা পেয়েছিলেন নীরব তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।