প্রায় ১০০ জন যাত্রী নিয়ে ব্রহ্মপুত্রে নৌকাডুবি! সরকারি আধিকারিক-স্কুল ছাত্র মিলিয়ে নিখোঁজ বেশ কয়েকজন
অসমের ধুবরিতে ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ডুবি। প্রায় ১০০ যাত্রী নিয়ে নৌকাটি হঠাৎই উল্টে যায়। প্রথমে স্থানীয়রা এবং পরে সরকারি উদ্ধারকারী দল উদ্ধার কার্য শুরু করলেও সরকারি আধিকারিক এবং ছাত্র-সহ বেশ কয়েরজন নিখোঁজ বলেই জানা গিয়
অসমের ধুবরিতে ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ডুবি। প্রায় ১০০ যাত্রী নিয়ে নৌকাটি হঠাৎই উল্টে যায়। প্রথমে স্থানীয়রা এবং পরে সরকারি উদ্ধারকারী দল উদ্ধার কার্য শুরু করলেও সরকারি আধিকারিক এবং ছাত্র-সহ বেশ কয়েরজন নিখোঁজ বলেই জানা গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি নৌকায় প্রায় ১০০ যাত্রী ছিল এছাড়াও অন্তত ১০ টি মোটর সাইকেলও ছিল নৌকাটিতে।
ব্রহ্মপুত্রে নৌকাজুবি
অসমের এসডিআরএফ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জ্ঞানেন্দ্র দেব ত্রিপাঠী ধুবরি ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবির কথা জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, উদ্ধারকারী দল অভিযান শুরু করেছে। উদ্ধার কাজে এসডিআরএফ-এর বাহিনী ছাড়াও ডুবুরিও নামানো হয়েছে।
|
ধুবরির জেলা শাসকের বয়ান
ধুবরির জেলাশাসক আনবামুথান এমপি জানিয়েছেন, ৬-৭ ডন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তবে তল্লাশি অভিযান চলছে। নিখোঁজদের মধ্যে অন্যতম হলেন, ধুবরির সার্কেল অফিসার সঞ্জু দাস। এছাড়াও ভূমি দফতরের এর আধিকারিক এবং অফিসের এক কর্মীও সেই নৌকায় ছিলেন। তাঁরা ভাঙন কবলিত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে যাচ্ছিলেন। সঞ্জু দাস নিখোঁজ থাকলেও সঙ্গী দুই সরকারি কর্মী সাঁতরে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। সরকারের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে নৌকাডুবির সময় ওই নৌকায় প্রায় ২৯-৩০ জন যাত্রী ছিলেন।
কীভাবে দুর্ঘটনা
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাসানীগামী নৌকাটি ধুবরি শহর থেকে প্রায় ৩ কিমি দূরে আদাবাড়িতে একটি সেতুর পোস্টে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। উদ্ধারকারী দলের এক সদস্য জানিয়েছেন বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওই নৌকায় বেশ কিছু স্কুল ছাত্র ছিল। তাঁদের কাউকেই উদ্ধার করা যায়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন।
মহালয়ায় বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে নৌকাডুবি
মহালয়ার জিন বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাট এলাকায় করোতোয়া নদীতে নৌকাডুবিতে কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যু হয়। বড়শশী ইউনিয়নের বদেশ্বরী মন্দিরের দিকে যাওয়ার সময় ভিড়ের চাপে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। অনেকে সাঁতরে পাঁড়ে উঠতে সক্ষম হলেও অনেকই ব্যর্থ হন। প্রশাসনের তরফে বিধি না মেনে চলার জন্যই দুর্ঘটনা বলে জানানো হয়েছিল। এদিনের অসমের নৌকা ডুবিও তার ব্যতিক্রম নয়।