লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা, বিজেপির কোন মন্ত্রে মোদীর হ্যাটট্রিক সফলে উদ্যোগী
লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা, বিজেপির কোন মন্ত্রে মোদীর হ্যাটট্রিক সফলে উদ্যোগী
একুশের নির্বাচনে বাংলা জয়ের টার্গেট করেছিল বিজেপি। সামনের বছর আবার তেলেঙ্গানার ভোট। এবার দক্ষিণের এই রাজ্যকে পাখির চোখ করেছে গেরুয়া শিবির। সেই লক্ষ্য নিয়েই তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদে জাতীয় কর্মসমিতির আসর বসিয়েছে বিজেপি। সেখানেই ২০২৪-এর লোকসভা ভোট ও বিধানসভা ভোটগুলিতে জয়ের লক্ষ্যে বিজেপি কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়।
বুথভিত্তিক সংগঠন শক্তিশালী করার লক্ষ্যে
বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বুথভিত্তিক সংগঠন শক্তিশালী করার উপর জোর দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতিদের সপ্তাহিক বৈঠক করার নির্দেশ দেওযা হয়েছে। প্রত্যেক রাজ্য সভাপতি নিজের নিজের রাজ্যে মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করবেন। বুথভিত্তিক সংগঠন শক্তিশালী করার কাজ কীভাবে তাঁরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তার তদারকি করবেন।
বুথ পিছু ২০০ জন করে সক্রিয় সদস্য তৈরির টার্গেট
জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে স্থির হয়েছে, বুথ পিছু ২০০ জন করে সক্রিয় সদস্য তৈরির টার্গেট নিতে হবে। তাঁদের নিয়ে তৈরি করা হবে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ। এভাবেই তাঁরা বুথকে শক্তিশালী করার রাস্তায় হাঁটতে চাইছে। প্রত্যেক রাজ্য সভাপতিকেই টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে। একটা বুথে ২০০ জন সক্রিয় সদস্য তৈরির অর্থ প্রতি পরিবার থেকে একজন করে সদস্য তৈরি করা। এই কঠিন লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে বিজেপি।
বিজেপির ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ কর্মসূচির টার্গেট
সেই সঙ্গে বিজেপি আরও একটি বড় কর্মসূচি নিয়েছে। জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে স্থির হয়েছে বিজেপি 'হর ঘর তেরঙ্গা' কর্মসূচি পালন করবে। দেশের ২০ কোটি মানুষের বাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। দেশের প্রতিটি পরিবারকে জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ করতেই এই পরিকল্পনা বিজেপির। ২০২৪-এর আগে এই জোড়া কর্মসূচিতেই বিজেপি বাজিমাত করতে চাইছে।
মোদী সরকারের একাধিক প্রকল্প প্রচার-প্রসারে
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদী-রাজ্য গুজরাত-সহ তেলেঙ্গানা, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড় প্রভৃতি রাজ্যের ভোট। তার আগে বিজেপি মেপে পা ফেলতে চাইছে। বিজেপি চাইছে মোদী সরকারের একাধিক প্রকল্প প্রচার প্রসারের মাধ্যমে জনসংযোগ করতে। এই লক্ষ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতিদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
প্রাক-ভোট বা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের কথা
বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে বাংলা নিয়েও বিশেষ অবস্থান নিতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। বিজেপি একুশে বাংলা দখলের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিল। কিন্তু বাংলায় হেরে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে বিজেপি। কেন বিজেপি শুধু হারছে বাংলায়। তার নির্দিষ্ট কোনও উত্তর মেলেনি। সেই একই আওয়াজ উঠেছে। বাংলার ভোট-সন্ত্রাস, হিংসা। এই প্রাক-ভোট বা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের কথা নিজের ভাষণে তুলে ধরেছেন খোদ বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা।
বর্ষার প্রকাশ ঘটেনি জুনে, জুলাই ভরিয়ে দেবে বৃষ্টি! আবহাওয়ার পূর্বাভাসে স্বস্তির আশ্বাস