বাড়ির এই দিশার যত্ন নিন, বৃহস্পতির সঙ্গে যোগ রয়েছে, বাস্তু মতে জানুন সহজ কিছু উপায়
বাস্তুর আমাদের জীবনে বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। যদি আমাদের বাড়ি বাস্তু অনুসারে তৈরি হয় তবে আমাদের জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি আসে খুব তাড়াতাড়ি। অন্যদিকে যদি ঘর বাস্তু অনুযায়ী তৈরি না হয় তবে জীবনে নেতিবাচকতা আসতে পারে। এর সঙ্গে ব্যক্তিকে আর্থিক অনটনের মুখোমুখি হতে হয়। জেনে রাখুন, বাস্তুর দিশাগুলিতে কোনও না কোনও গ্রহের আধিপত্য হয়। এখানে আমরা কথা বলতে চলেছি উত্তর-পূর্ব দিশা অর্থাৎ ঈশাণ কোণের বিষয়ে। এই দিশার সঙ্গে বৃহস্পতি গ্রহের সম্পর্ক রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক যে এই দিশার মাহাত্ম্য ও বাস্তুর মাধ্যমে বৃহস্পতি গ্রহকে মজবুত করার উপায়।
ঈশাণ কোণ
যে স্থানে পূর্ব ও উত্তর দিক মিলিত হয় তাকে ঈশান কোণ বলা হয়। বাস্তু অনুসারে, বাড়ির এই স্থানটিকে উত্তর-পূর্ব কোণ বলা হয়। ঈশানও ভগবান শিবের একটি নাম। এই দিশার অধিপতি গ্রহগুলি হল বৃহস্পতি ও কেতু।
উত্তর–পূর্ব দিশা (ঈশাণ কোণ)
ঈশাণ কোণকে দেবগুরু বৃহস্পতির কোণ বলে মানা হয়ে থাকে। এর সঙ্গে বৈদিক জ্যোতিষে গুরু বৃহস্পতিকে ধার্মিক কাজ ও আধ্যাত্মিকতার কারক গ্রহ বলে মনে করা হয়। এর সঙ্গে এই দিশা জ্ঞান তথা ধর্ম-কর্মের সূচক হিসাবে পরিচিত। জেনে রাখুন, এই দিশায় দোষ হলে ব্যক্তি নাস্তিক হতে পারে। তাঁর পুজো-অর্চনায় মন বসবে না। এর সঙ্গে বিয়েতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর সঙ্গে ব্যক্তির পেটের ব্যাধি, মধুমেহ ও পাচন ক্রিয়ার সঙ্গে সম্বন্ধিত রোগ হতে পারে।
ঈশাণ কোণে রাখুন এই জিনিসগুলি
ঈশাণ কোণে জলের স্থাপনা করুন। যেমন কুয়ো, জলের ফিল্টার, কুঁজো অথবা জল খাওয়ার জায়গা হওয়া উচিত। এছাড়া এই জায়গায় পুজোর ঘরও তৈরি করা যায়। এছাড়াও এই দিশায় প্রধান দরজা যদি হয় তবে বাস্তুর দৃষ্টিকোণ থেকে খুবই শুভ বলে মানা হয়। এরকম করলে ঘরে বাস্তুদোষ হয় না এবং সুখ-সমৃদ্ধি থাকে এখানে।
এই উপায় করুন
বাস্তু শাস্ত্র অনুসারে, ঈশাণ কোণ সর্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা দরকার। এর সঙ্গে এই দিশায় কখনও শৌচালয় তৈরি করতে নেই। এছাড়া এই দিশায় কখনও লোহার জিনিস রাখতে নেই। এই দিশায় জঞ্জাল রাখবেন না। একই সময় গুরুজন ও ব্রাহ্মণদের সম্মান দেওয়া উচিত। এর সঙ্গে ধার্মিক পুস্তক দান করুন। এর সঙ্গে আপনি বৃহস্পতিবার গুরুযন্ত্রের স্থাপনা করতে পারেন সকালে। এরকম করলে বৃহস্পতি গ্রহের কৃপা পড়বে আপনার ওপর।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)