সূর্যাস্তের পর কখনও করা ঠিক নয় এই সকল কাজ, নাহলে জীবনে আসে ঘোর দুর্দশা
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, দিনের আলাদা আলাদা সময়কে পৃথক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়ে থাকে। আর তাই দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাহেন্দ্রক্ষণ, অমৃতকাল, এবং পাশাপাশি 'বারবেলা', 'কালরাত্র' ইত্যাদি একাধিক ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ঠিক তেমনই দিনে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময়কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে মনে করা হয়ে থাকে। তাই এই সময়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার বা না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। হিন্দুধর্ম, জ্যোতিষশাস্ত্র এবং বাস্তুশাস্ত্রে সকাল ও সন্ধ্যার সময় সম্পর্কে কিছু নিয়ম বেধে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়মগুলি সকাল এবং সন্ধ্যায় করণীয় এবং করণীয় নয় তার উপর ভিত্তি করে গঠিত। যেন নেওয়া যাক এমনই কিছু কাজ সম্পর্কে যা সন্ধ্যাবেলা করা কখনওই ঠিক নয়।

সূর্যাস্তের সময় ঘুমানো
সূর্যাস্তের সময় কিছু কাজ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, তাই এই জিনিসগুলি এড়িয়ে চলা উচিত। সূর্যাস্তের সময় কখনই ঘুমানো উচিত নয়। তবে কোনও মানুষ যদি অসুস্থ বা বয়স্ক হন তবে এক্ষেত্রে তা খুব একটা দোষের হয়না। কিন্তু এছাড়া সুস্থ মানুষের কখনই সন্ধ্যাবেলা ঘুমানো উচিত নয়। জ্যোতিষ ও বাস্তু মতে মনে করা হয় যে এটি করলে মা লক্ষ্মী খুব রুষ্ট হন এবং তার ফলে জীবনে আসতে পারে আর্থিক সংকট।

সূর্যাস্তের সময় খাওয়া
সনাতন ধর্মে নানা রকম বিধান দেওয়া হয়েছে। সেই রকমই জ্যোতিষ এবং বাস্তু শাস্ত্রমতে সূর্যাস্তের সময় খাবার খাওয়া একদমই উচিত নয়। মনে করা হয় যে এটা করলে পরের জন্মে সেই ব্যক্তি পশু হয়ে জন্ম নেয়। আসলে পুরাণ মতে এই সময় নারায়ণের নরসিংহ অবতার রাক্ষস হীরণ্যকাশ্যপ কে বধ করেছিলেন। তাই এই সময় কিছু খাবার খেতে নিষেধ করা হয়। সেই সঙ্গে সন্ধ্যাবেলায় কাউকে দুধ, দই, লবণ ইত্যাদি জিনিস দান করাও খুব অশুভ বলে মনে করা হয়। বাস্তু মতে মনে করা হয় যে, এতে ঘরের লক্ষ্মী চলে যান।

সন্ধ্যায় ঝাড়ু দেওয়া
সন্ধ্যার পর কাউকে টাকা ধার দেওয়াও উচিত নয়। মনে করা হয় যে এটি করলে মা লক্ষ্মী রাগ করেন। সন্ধ্যায় ভুল করেও ঘরে ঝাড়ু দেওয়া ঠিক নয়। বাস্তু মতে এই কাজ অত্যন্ত অশুভ বলে মনে করা হয়। বলা হয় যে এমনটা করলে বাড়িতে ও সেই ব্যক্তির জীবনে অর্থের অনেক ক্ষতি হয় এবং সংসারে দৈন্যতা অনেক বৃদ্ধি পায়।

সন্ধ্যায় নিষিদ্ধ কাজ
বাস্তু মতে সন্ধাবেলা স্বামী ও স্ত্রীর শারীরিক মিলন করা থেকে বিরত থাকা উচিত। বলা হয় যে সন্ধাবেলা শারীরিক মিলনেই জন্ম নিয়েছিল শিশুপাল। তাই তার মতই এই সময় মিলনের ফলে শিশু জন্মনিলে সে খুবই অভদ্র ও অসৎ স্বভাবের হয়ে থাকে। এছাড়াও ঠিক সন্ধ্যাবেলার সময় অধ্যয়নের পরিবর্তে সাধনা করাই উত্তম, তাই এই সময়ে মন্ত্রজপ বা আরতি করা হয়ে থাকে।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)
বিপরীতমুখী বুধ, মঙ্গলবার থেকে কোন তিন রাশির ব্যক্তিদের শুভ ফল দেবে