৮ সংখ্যায় জন্মানো ব্যক্তিদের ওপর থাকে শনিদেবের কৃপা, এঁদের চরিত্র ও স্বভাব কেমন জেনে নিন
৮ সংখ্যায় জন্মানো ব্যক্তিদের ওপর থাকে শনিদেবের কৃপা, এঁদের চরিত্র ও স্বভাব কেমন জেনে নিন
কোনও ব্যক্তির ভবিষ্যত ও জীবনের বিষয়ে জানার জন্য আরও একটি উপায় হল গণিত জ্যোতিষ শাস্ত্র। যেখানে গণিতের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাণী করা হয়ে থাকে। গণিতশাস্ত্রে যে কোনও ব্যক্তির জন্ম তারিখ দিয়ে তাঁর জীবনের বিষয়ে অনেক কিছু জানা সম্ভব হয়। যে সব মানুষের জন্ম যে কোনও মাসের ৮, ১৭ ও ২৬ তারিখে হয়েছে তাঁদের মুলাঙ্ক ৮ হয়। এই সংখ্যাটিকে শনিদেবের সংখ্যা বলে বিবেচনা করা হয়। যে কারণে এই মুলাঙ্কের জাতকদের ওপর শনিদেবের বিশেষ কৃপা থাকে।
এঁদের স্বভাব রহস্যময়
মুলাঙ্ক ৮-এর জাতকরা রহস্যময়ী স্বভাবের হয়ে থাকে। এঁরা এঁদের মনে কথা সহজে কারোর সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন না। এঁদের নিজেদের জাহির করা একেবারে পছন্দ নয়। এঁরা খুবই পরিশ্রমী প্রকৃতির হয়। একবার যে কাজে এঁরা হাত দেন তা পুরো করে সেখানে সফলতা অর্জন করার পরই দম ছাড়েন। এঁরা সাদামাটা জীবন পছন্দ করেন। খুব বেশি সামাজিক জায়গায় যাওয়া পছন্দ নয়। এই কারণে এঁদের বন্ধুও কম হয়। এঁরা সহজে কারোর ওপর বিশ্বাস করেন না। এঁকা খুব সত্যিকারের বন্ধু হন। বিশ্বাসী, পরিশ্রমী, সংঘর্ষশীল ও ধৈর্য্য থাকে এঁদের মধ্যে।
ভেবেচিন্তে কাজ করেন
এই মুলাঙ্কের জাতকরা যে কোনও কাজ খুব ভেবেচিন্তে করতে ভালোবাসেন। যে কারণে এঁদের সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এঁরা নিজেদের ভাগ্যের ওপর ভরসা না করে নিজের কর্মের দিকে মনোযোগ দেন। এঁরা পরিশ্রমের মাধ্যমে সবকিছু হাসিল করতে পারেন। এঁদের আর্থিক অবস্থা সাধারণত ভালো থাকে কারণ তাঁরা অপ্রয়োজনীয় কাজে অর্থ ব্যয় করেন না। তাঁরা তাদের অর্থ বাঁচিয়ে রাখেন, যার কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁরা প্রচুর অর্থ জমা করে ফেলেন। এঁরা ধনবান হয়ে যান।
দ্রুত হাল ছাড়েন না
৮ মুলাঙ্কের জাতকরা নিজেদের কাজ ছাড়া অন্য কিছু বোঝেন না। গোটা পৃথিবী তাঁদের নিয়ে কি ভাবছেন তাতে তাঁরা একটুও বিচলিত হন না। তাঁরা কঠোর পরিশ্রম করেন এবং তাঁদের কর্মক্ষেত্রে খুব ভাল অবস্থান অর্জন করেন। জীবনে যত সমস্যাই আসুক না কেন দ্রুত হাল ছাড়েন না। তাঁরা চ্যালেঞ্জকে ভয় পায় না, বরং সাহসের সঙ্গে তাঁদের মোকাবিলা করেন।
লক্ষ্যে স্থির থাকে এই জাতকরা
এই মুলাঙ্কের জাতকরা কিছুটা ভাবুক, অত্যন্ত ব্যবহারিক, পরিশ্রমী এবং বুদ্ধিসম্পন্ন হয়। এঁদের জীবনে গতি কিছুটা দেরিতে আসে। কিন্তু এঁরা নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকে সফল হয়। এঁরা কোমল হৃদয়ের হয়। শাসন করার সময়ে মা-বাবাদের খুবই সতর্ক থাকা উচিত। ব্যক্তিগত জীবনে এঁরা নিজেদের জীবন সঙ্গীর সঙ্গে খুবই বিশ্বাসী হন। এঁদের বিবাহিত জীবনও তাই খুব সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়।