ঘুমনোর সময় বালিশের নীচে রাখুন বিশেষ এই জিনিস, সফলতা পাবেন সব কাজে
জ্যোতিষ ও বাস্তু শাস্ত্রে এমন অনেক কিছুর উপায় বলা হয়েছে যা আমাদের জীবনের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে। এই সমস্যা কুণ্ডলীতে গ্রহ দোষের কারণে হতে পারে অথবা বাস্তু দোষের জন্য নেতিবাচকতার কারণেও হতে পারে। এরকম অবস্থায় জ্যোতিষ ও বাস্তুশাস্ত্রে কিছু এমন উপায় বলা হয়েছে যেগুলি শোওয়ার আগে করা দরকার। এই উপায় হল বালিশের নীচে কিছু বিশেষ জিনিস রাখা, এতে জীবন অনেক সমস্যা দূর হয়ে যায়।
গীতা অথবা সুন্দরকাণ্ড
যদি কর্মক্ষেত্রে ভালো পারফর্ম করতে সমস্যা হচ্ছে বা উন্নতি করতে পারছেন না তাহলে শোওয়ার সময় বালিশের নীচে গীতা বা সুন্দরকাণ্ড রেখে ঘুমোন। এরকম করলে মন শান্ত হয়ে যায় এবং ব্যক্তির ভেতরে ইতিবাচকতা বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে এর নেতিবাচকতার প্রভাব তাঁর কাজ ও উন্নতিতে দেখতে পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার রাতের টোটকা
মঙ্গলবার রাতে সবুজ কাপড়ে গোটা মুগ ডাল বেধে বালিশের নীচে রেখে শুয়ে পড়ুন। সকালে এটি নয় কোনও কন্যাকে দিয়ে দিন অথবা দুর্গা মন্দিরে মায়ের পায়ে রেখে দিয়ে আসুন। এরকম করলে বুধ গ্রহ শুভ ফল দিতে শুরু করে এবং শীঘ্রই কেরিয়ারে উন্নতি দেখতে পাওয়া যায়।
রাহু দোষ কাটান
যাঁদের কুণ্ডলীতে রাহু দোষ রয়েছে তাঁরা রাতে বালিশের নীচে মুলো রেখে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে এই মুলো শিবলিঙ্গে অর্পণ করুন। এতে রাহু দোষের কারণে কাজে আসা বাধা দূর হয়ে যাবে।
সময় ভালো যাদের যাচ্ছে না
যাঁদের মনে হচ্ছে যে তাঁদের সময় ভালো যাচ্ছে না, রাতে ভয়ের স্বপ্ন দেখছেন, অনিদ্রার সমস্যা রয়েছে তাঁরা বালিশের নীচে লোহার চাবি বা কাঁচি রেখে ঘুমোন। এতে রাহু-কেতুর খারাপ প্রভাব শেষ হবে এবং গোটা সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
মঙ্গল দোষ
মঙ্গল দোষের কারণে কাজে বাধা পাচ্ছেন, মনের মতো উন্নতি হচ্ছে না তাহলে সোমবার করে বালিশের নীচে সিঁদুরের ছোট কৌটো রেখে শুয়ে পড়ুন। এর পরের দিন এই সিঁদুর হনুমানজিকে অর্পণ করুন। দ্রুত সফলতা পাবেন। আয়ও বাড়বে।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)