ভূতচতুর্দশীর সঙ্গে '১৪' সংখ্যাটির যোগ কোথায়, কেনইবা খেতে হয় ১৪ শাক! জানুন নেপথ্যের ঘটনা
প্রতিটি পার্বণের রূপ , ধরণ আলাদা আলাদা, সঙ্গে রয়েছে বেশ কিছু রীতিনীতিও, যা বাদে বাঙালির উৎসব উদযাপন ভাবা যায় না। সেই উদযাপনেরই একটি দিক কালীপূজা।
কথাতেই আছে, বাঙালির বারো মাসে ১৩ পার্বণ। প্রতিটি পার্বণের রূপ , ধরণ আলাদা আলাদা, সঙ্গে রয়েছে বেশ কিছু রীতিনীতিও, যা বাদে বাঙালির উৎসব উদযাপন ভাবা যায় না। সেই উদযাপনেরই একটি দিক কালীপূজা। পূজার আগের দিন ভূতচতুর্দশী পালিত হয়। কী এই ভূত চতুর্দশী , তা নিয়ে রইল কয়েকটি খুটিনাটি।
[ভূত চতুর্দশীর দিন এই কাজগুলি করলে গৃহস্থে ধন সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়]
[রাজস্থানের এইসব জায়গায় আজও লুকিয়ে বহু রহস্য, গা ছমছমে বহু ঘটনা জানুন ফোটোফিচারে ]
ভূত চতুর্দশী কী ?
এটি কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের শেষে চতুর্দশীতে পালিত হয়। মনে করা হয়, এদিন গৃহস্থে প্রেতশক্তির প্রবেশ ঘটে। তা দূর করতেই জ্বালানো হয়। আবার পৌরাণিক মতে,নরকাসুররূপী বলি রাজা কালীপুজোর আগের দিন ভূতচতুর্দশী তিথিতে মর্ত্যে আসেন পুজো নিতে। সঙ্গে থাকে রাজার অসংখ্য অনুচর হিসাবে পরলোক জগতের ভূত প্রেতরা। তাদের গৃহস্থে প্রবেশে বাধা দিতে জ্বালানো হয় আলো।
চোদ্দ প্রদীপ
এদিন বাংলার প্রতিটি ঘরে প্রেতাত্মা তাড়াতে ১৪ টি প্রদীপ দিয়ে সাজানো হয়। ঘরের প্রতিটি কোনে রাখা হয় প্রদীপ। যেহেতু চতুর্দশীর রাত তাই সংখ্যায় ১৪ টি প্রদীপ দেওয়া হয়।
কেন সংখ্যা ১৪ এত গুরুত্বপূর্ণ
মনে করা হয় ,এই দিনে বংশের পূর্বপুরুষদের আত্মাও গৃহস্থে আসে। পরিবারের সুখ শান্তির আশীর্বাদও করে যান তাঁরা। বংশের পূর্বের ১৪ পুরুষকে স্মরণ করে , তাই ১৪ প্রদীপ লাগানো হয় বলেও একটি 'মত' প্রচলিত রয়েছে।
১৪ শাক
কালীপুজোর আগের দিন বাংলার ঘরে ঘরে ১৪ টি শাক খাওয়ার রীতি রয়েছে। এই শাকগুলি হল ,ওল ২, কেঁউ ,বেতো , সর্ষে , কালকাসুন্দে , নিম , জয়ন্তী , শাঞ্চে, হিলঞ্চ , পলতা , শৌলফ , গুলঞ্চ , ভাঁটপাতা , শুষণী শাক।
কেন খাওয়া হয় ১৪ টি শাক
১৪ টি শাক খাওয়া এই দিনে স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। মরশুমের এই সময়ে এই ১৪ টি শাকের বেশ কিছু গুণ অসুস্থতার হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করে বলে মনে করা হয়। তাই এই শাকগুলি খাওয়ার রীতি রয়েছে।