আজ শারদীয় দুর্গাপূজোর মহানবমী
আজ সোমবার , ৫ দিনব্যাপী শারদীয় দূর্গোৎসবের আজ ৪র্থ দিন অর্থাৎ মহানবমী ,চন্দ্রের নবমী তিথিতে সারাদেশে অনুষ্ঠিত হবে মহানবমী কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজাপূজা। নবমী সন্ধিক্ষণে অনুষ্ঠিত হয়েছে সন্ধিপূজা। মহিষাসুর নিধনের সময় দেবী দুর্গা প্রচন্ড ক্রোধে কৃষ্ণবর্ণ রূপ ধারণ করেছিলেন। তাই পূজার এই আচারের সময় দেবীকে চামুন্ডা রূপে পূজা করা হয়েছে, অর্থাৎ যিনি চন্ড ও মুণ্ডের বিনাশিনী। পূজার এই মুহূর্তটি আরও একটি কারণে স্মরণীয়। দেবী দুর্গার আশির্বাদ নিয়ে শ্রীরামচন্দ্র এই মুহূর্তেই রাবণকে বধ করেছিলেন।
কাল (মঙ্গলবার ) বিজয়া ,
" নবমী নিশি যেন আর না পোহায়,
তোকে পাবার ইচ্ছা মাগো কভু না ফুরায়,
রাত পোহালেই জানি আবার হবে দশমীর ভোর,
আবার তোকে পাবো মোরা একটি বছর পর |
মহা মায়ের মহামায়া, সোনার আলোয় কত পাওয়া
চারটি দিনের কত চাওয়া, ঊমাশশীর উতল হওয়া
কাঁদিস নে মা, আবার তোরে আসবো নিয়ে বছর পরে " -
এমনই
মনোকামনায়
আজ
মহানবমী
পালন
করবে
হিন্দু
সমপ্রদায়।
কারণ
আর
মাত্র
এক
দিন
পরেই
মর্ত্য
ছেড়ে
কৈলাশে
স্বামীগৃহে
ফিরে
যাবেন
দুর্গতিনাশিনী
দেবী
দুর্গা।
চোখে
এখনও
উত্সবের
রেশ.
আজই
তো
শেষ
দিন.
তারপর
?
ফের
ফেরা
দৈনন্দিন
চর্বিতচর্বনে
-
মনে
কি
সেই
আশঙ্কা
?
আজ
যে
মহানবমী
,সকালবেলার
রোদ্দুরটাও
কেমন
যেন
মন
খারাপের
,গোধূলির.
অষ্টমীতে
সবাই
ছিল
রাতজাগা
তারা.
প্যান্ডেলের
গায়ে,
আলোর
মালায়,
সন্ধিপুজোয়,
সঙ্গিনীর
হাতে
আলতো
চাপে,
ফুচকার
জলে,
দুষ্টুমির
ভেঁপুতে,
আলতো-শিশির
ঘাসেও
কখন
যে
খেলা
ভাঙার
সুর
বেজে
গেছে,
কেউ
জানে
না.
দিন
গড়ালেও
এখনও
ঘুমছোঁয়া
চোখ,
পকেটে
এখনও
কিছু
খুচরো
পাথর.
বাড়ির
গা
ঘেঁষা
মাইকে
স্তোত্রপাঠ
সম্বিত
ফেরায়,
আজ
যে
নবমী!
পাড়ার
প্যান্ডেলে
আজও
রকবাজি
চলছে.
সন্ধের
উড়নচণ্ডী
মন
ফের
তার
হাত
ধরে
দেবে
একছুট.
বহুদিন
পর
একটা
রি-ইউনিয়ন
হবে,
আজ
বিকেলে.
পিসতুতো
দাদার
বাড়িতে
জমকালো
ফ্যামিলি
গ্যাদারিং.
তবু
তো
সন্ধে
হবে,
রাত
নামবে.
আসবে
নবমীর
নিশি,
সেটাই
অমোঘ
সত্য!অচিনপুরের
হাওয়া.
হাওয়ায়
হারাচ্ছে
মন.
রাত
পোহালেই
ঘরে
ফিরবেন
উমা.
উদযাপনের
শেষবেলায়
তাই
যত
তোড়জোড়.
রাত
ফুরোলেই
যে
ফের
সাদামাটা
একঘেয়ে
জীবন.
রাত-ভোর
হলেই
ফের
নাকে-মুখে
গুঁজে
বাসের
পিছনে
ছোটা,
সেই
লোকটার
মত.
ধুলো
ঝেড়ে
ফের
বইমুখো
হওয়া.তবে
চশমার
ফাঁকে
ফিজিক্স,
কেমিস্ট্রি,
ম্যাথমেটিক্সের
গায়ে
এখনও
যে
লেগে
আছে
কাশফুল.
এ
শরতেও
তার
আয়ু
আর
কদ্দিন!
বিসর্জনের
দশমী
যে
দোরগোড়ায়
এসে
গিয়েছে!
শাস্ত্র অনুযায়ী, শাপলা, শালুক ও বলিদানের মাধ্যমে দেবীর মহানবমী পূজা হবে। নানা আচারের মধ্যদিয়ে মহানবমীর পূজা শেষে যথারীতি থাকবে অঞ্জলি নিবেদন ও প্রসাদ বিতরণ। মূলত আজই পূজার শেষ দিন। তবে বিজয়া দশমীর দিনেও বেশকিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকে।
মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতে দুর্গাদেবীর দশমী বিহিত পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে। এদিনই প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।