দীপাবলি ২০১৯ : সতীপীঠ বীরভূম যেন মা কালীর চারণভূমি
কঙ্কালীতলা থেকে নলহাটেশ্বরী, ফুল্লরা থেকে নন্দিকেশ্বরী- সতীপীঠের এক অনন্য সঙ্গম চোখে পড়ে বীরভূমে। কথিত আছে, মা কালী নাকি স্বয়ং অধিষ্ঠান করেন বাংলার এই রাঢ় অঞ্চলে। মানবকুলের রক্ষাকর্ত্রী তিনিই।
কঙ্কালীতলা থেকে নলাটেশ্বরী, ফুল্লরা থেকে নন্দিকেশ্বরী- সতীপীঠের এক অনন্য সঙ্গম চোখে পড়ে বীরভূমে। কথিত আছে, মা কালী নাকি স্বয়ং অধিষ্ঠান করেন বাংলার এই রাঢ় অঞ্চলে। মানবকুলের রক্ষাকর্ত্রী তিনিই। তাই কালীপুজোয় বীরভূমের আকর্ষণ থাকে অন্যরকম। মন্দিরগুলিকে ঘিরে রয়েছে অন্যান্য মিথও।
কঙ্কালীতলা
পুরানে কথিত ৫১ শক্তিপীঠের অন্যতম কঙ্কালীতলা মন্দির বীরভূমের নানুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। বলা হয়, দক্ষযজ্ঞের পর দেবী পার্বতীর দেহের কঙ্কাল এই স্থানে পড়েছিল। তাই এই এলাকার নাম কঙ্কালীতলা। এখানে দেবী দেবগর্ভা হিসেবে পূজিত হন। আর ভৈরবের নাম রুরু। প্রতি কালী পুজোর অমাবস্যার রাতে এই মন্দিরে রীতি মেনে শান্তি যজ্ঞ হয়ে থাকে।
নলাটেশ্বরী
নলাটেশ্বরীর মন্দির পুরানে কথিত আরও একটি সতীপীঠ, যেটি বীরভুমের অন্যতম আকর্ষণ স্থল। নলহাটি স্টেশনের নিকট কোনও এক স্থানে দক্ষযজ্ঞের পর দেবী পার্বতীর শ্বাসনালী সহ কণ্ঠনালী পড়েছিল বলে লোকমুখে প্রচারিত। বলা হয় নাকি স্বপ্নাদেশে কামদেব, সতীর সেই কণ্ঠনালী উদ্ধার করেন। ব্রাহ্মণী নদীর তীরে ললাট পাহাড়ের নিচে তার ওপর বেদী প্রতিষ্ঠিত হয়। নাম দেওয়া হয় দেবী নলাটেশ্বরীর মন্দির। দেবী এখানে কালিকা রূপে পূজিত হন। আর ভৈরব এখানে যোগেশ।
নন্দীকেশ্বরী
বীরভূমের সাঁইথিয়া শহরের মধ্যভাগে অবস্থিত নন্দীকেশ্বরী মন্দিরকে ঘিরে মিথ কিছু কম নেই। পুরানে কথিত আছে যে দক্ষযজ্ঞের পর দেবী পার্বতীর গলার হার নাকি এই এলাকায় পড়েছিল। দেবী এখানে নন্দিনী হিসেবে পূজিত হন। ভৈরব এখানে নন্দিকেশ্বর।
বক্রেশ্বর শক্তিপীঠ
কথিত আছে, দক্ষযজ্ঞের পর মহাদেব যখন দেবী পার্বতীর মৃতদেহ নিয়ে ব্রহ্মাণ্ডে প্রলয়-নাচন শুরু করেছিলেন, তখন ভগবান বিষ্ণুর চক্রে খণ্ডিত সতীর ভ্রূণের মধ্যবর্তী অংশে বা মন বক্রেশ্বরে পড়েছিল। সেই মিথকে কেন্দ্র করেই এখানে তৈরি করা হয় মন্দির।
ফুল্লরা
বীরভূমের লাভপুরের কাছে ফুল্লরায় দেবীর ঠোটের নিচের অংশ পড়েছিল বলে পুরানে কথিত আছে। দেবী এখানে ফুল্লরা হিসেবে পূজিত হন। ভৈরব এখানে বিশ্বেশ।