২৬ মে চন্দ্রগ্রহণ, ব্লাড মুন, বুদ্ধপূর্ণিমার মধ্যেই সাইক্লোনের তাণ্ডব আসন্ন, বৈদিক জ্যোতিষ গণনা কী বলছে
২৬ মে ফের একবার পৃথিবী ও চাঁদ কাছাকাছি আসতে চলেছে। ২০২১ সালের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ এই দিন দেখা যাবে। একই সঙ্গে ২৬ মের রাতে রয়েছে বুদ্ধপূর্ণিমা। আর পূর্ণিমার চাঁদই এদিন রক্তবর্ণ হয়ে বিরল ব্লাড মুনের দৃশ্য তুলে ধরবে। এমন পরিস্থিতিতে এই বিরল যোগের মাঝে রয়েছে সাইক্লোনের তাণ্ডব। দেখা যাক জ্যোতিষ মতে গণনা কী বলছে।
সুপার মুন কী?
পূর্ণিমার রাতে ২৬ মের চন্দ্রগ্রহণ রয়েছে। বর্হিবিশ্ব যাকে বলছে সুপার মুনের সময় কালে চন্দ্রগ্রহণ। মূলত মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মতে , এমন দিনে চাঁদ পৃথিবীর কাছে আসে। আর তার জেরে দেখা যায় পূর্ণিমার পূর্ণাঙ্গ চাঁদ। দুই গোলকের মধ্যে দূরত্ব থাকে, ৩৬০,০০০ কিলোমিটার।
ব্লাড মুন
এদিকে, বুদ্ধপূর্ণিমার রাতে আকাশে চন্দ্রগ্রহণের সঙ্গেই দেখা যাবে ব্লাড মুন। এই গ্রহণকালে প্রতিসরণের আলো চাঁদের গায়ে পড়তেই তা প্রবলভাবে রক্তিম বর্ণ ধারণ করে। এই পরিস্থিতিতে আকাশে দেখা যায় রক্তচাঁদ।
ব্লাড মুন ও সাইক্লোন
এদিকে, ২৬ মে বাংলা ও ওড়িশায় আছড়ে পড়তে চলেছে সাইক্লোন ইয়াস। এমন এক দিনে এই ব্লাড মুনের প্রভাব আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘিরে একাধিক আশঙ্কা রয়েছে । দেখে নেওয়া যাক, ব্লাড মুনের কী কী প্রভাব থাকে সাধারণ জনজীবনে।
ব্লাড মুনের প্রভাব
ব্লাড মুনের প্রভাবে যাঁদের কোষ্ঠীতে চন্দ্রের অবস্থান তাৎপর্যবাহী, তাঁদের মুড সুইংয়ের সমস্যা থাকতে পারে। এমন সময় তাঁদের ক্ষেত্রে আলাদা করে নজর রাখা দরকার। যাঁদের মধ্যে অবসাদ রয়েছে, তাঁদেরও এই সময়ে আলাদাভাবে নজরে রাখা উচিত।
২০২১ সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের দিন,ক্ষণ, তরিখ একনজরে
চন্দ্রগ্রহণের প্রভাব
কথিত রয়েছে, চন্দ্রগ্রহণের ফেল বহিঃশত্রুর সমাগম হয়। পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে এই গ্রহণ কুপ্রভাব বিস্তার করে। বৈদিক জ্যোতিষ মতে শরীরেও এর প্রভাব প্রবলভাবে পড়তে পারে। শরীরে বেশিরভাগ জায়গাতেই এর প্রভাব বাড়তে পারে। বৈদিক জ্যোতিষ মতে বহু ক্ষেত্রে চন্দ্রগ্রহণের ফলে দাঙ্গা ও সন্ত্রাসের ছবি দেখা যায়। তবে গ্রহণের কুপ্রভাব থেকে বাঁচতে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র একটি কার্যকরী ভূমিকা নেয় বলে দাবি বহু বিশেষজ্ঞের।