শিল্প ও কৃষি দুই বোনের মতো বাড়বে বাংলায়, বাণিজ্য সম্মেলনে বার্তা মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, ‘শিল্প বাড়লেই রাজ্য এগোবে। এ কথা শিরোধার্য। তা বলে কৃষি বঞ্চিত হবে না। শিল্প ও কৃষি দুই বোনের মতো বাড়বে রাজ্যে। বাংলাই পথ দেখাবে অন্যদের।’
শিল্প বান্ধব হতে গিয়ে কৃষিকে জলাঞ্জলি দেবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগত সরকার যে ভুল করেছে, সেই ভুল তিনি করতে নারাজ। তাই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, 'শিল্প বাড়লেই রাজ্য এগোবে। এ কথা শিরোধার্য। তা বলে কৃষি বঞ্চিত হবে না। শিল্প ও কৃষি দুই বোনের মতো বাড়বে রাজ্যে। বাংলাই পথ দেখাবে অন্যদের।'
[আরও পড়ুন:'ওয়েস্ট বেঙ্গল' হবে 'বেস্ট বেঙ্গল'! দিদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ আম্বানি-মিত্তালরা]
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'বাংলা বাণিজ্যের 'নেক্সট ডেস্টিনেশন' হতে চলেছে। শিল্পে পথ দেখাবে বাংলা। কৃষি বাড়লে শিল্প বাড়বে। এ কথা বিশ্বাস করেন তিনি, বিশ্বাস করে বাংলা। শিল্প ছাড়া রাজ্য এগোবে না। সেইমতোই পরিকাঠামো তৈরি করেছেন তিনি।' কৃষিকে রক্ষা করেই বাংলায় শিল্প স্থাপনের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছেন বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যে শিল্প আনার জন্য যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টার কোনও কসুর নেই, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন পরতে পরতে। ছোট শিল্প এলেও, রাজ্যে বড় বা ভারী শিল্পের কোনও দেখা মেলেনি এখনও। এবার কিন্তু ভারী শিল্পের লক্ষ্যেই তিনি এগোচ্ছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে শিল্পের বার্তা যেমন দিলেন তিনি, সেইসঙ্গে বাংলার মানুষের কাছে তিনি পরিষ্কার করে দিলেন, শিল্পের পাশাপাশি বাংলা কৃষিতেও এগোবে। শিল্প করতে গিয়ে কৃষিকে কোনওভাবেই জলাঞ্জলি দেওয়া হবে না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর কথাতেই তিনি স্পষ্ট করে দেন, জমি নীতিতে তিনি এককাট্টা। কৃষি জমিতে শিল্প স্থাপনের তিনি ঘোর বিরোধী। এ জন্য তিনি ল্যান্ড ব্যাকিং-এর ব্যবস্থা করেছেন। সেখান থেকেই শিল্প স্থাপনের জন্য জমি দেবেন বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর রাজ্যে শিল্পের জন্য জমির অভাব নেই বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন:শিল্পে বাংলা হবে সেরার সেরা, দেশকে পথ দেখাবেন তাঁরাই, দরজা ঘোষণা মমতার ]
কৃষি ও শিল্প- দুই ক্ষেত্রেই বাংলা সমানভাবে এগিয়ে যাবে বলে দাবি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'একই বাড়িতে যেভা্বে দুই বোন বেড়ে চলে, সেভা্বেই আমাদের রাজ্যে চলবে কৃষি ও শিল্প। তিনি এদিন প্রমাণ করে দেন, বাংলায় কৃষি হল ভিত্ত, আর শিল্প হবে ভবিষ্যৎ।' সেই পথেই বাংলা হবে দেশের পথ প্রদর্শক, বিশ্বের দরবারে তিনি দরজা কণ্ঠে ব্যাখ্যা করেন।