(মুভি রিভিউ) জুলফিকার : পরিচালনায় সৃজিত আর অভিনয়ে প্রশংসা কুড়োলেন দেব, প্রসেনজিতরা
মহাষষ্ঠীতেই মুক্তি পেল মোট ৬টি বাংলা ছবি। আর তার মধ্যে সবচেয়ে চর্চিত সিনেমা জুলফিকার। পরিচালনায় রয়েছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। আর অভিনয় বলতে গেলে গোটা টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিই।
শুধু জুলিয়াস সিজার নয়, তার সঙ্গে অ্যান্টনি অ্যান্ড ক্লিওপেট্রার ককটেল তৈরি করেছেন পরিচালক সৃজিত। তার সঙ্গে রূঢ় বাস্তবকে অসাধারণ দক্ষতায় মিশিয়ে এক অদ্ভুত উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন ছবিটিকে।
অভিনয়ে রয়েছেন প্রসেনজিৎ, দেব, যিশু সেনগুপ্ত, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, পাওলি দাম, নুসরত জাহান, অঙ্কুশ হাজরা, কৌশিক সেন, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, কাঞ্চন মল্লিক, কাইরা দত্ত সহ একাধিক চেনা মুখের অভিনেতা। এছাড়া এই সিনেমায় প্রথম দেব ও প্রসেনজিৎ একসঙ্গে কাজ করলেন। ছবিটি দর্শকের আকর্ষণের সেটাও অন্যতম কারণ।
ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই পুজোয় সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে গিয়েছে এই সিনেমা। এর গল্পে সাহিত্যের মিশেলে কলকাতা বন্দর এলাকার অন্ধকার বাস্তবকে দেখানো হয়েছে। অন্ধকার জগতের খুঁটিনাটি একেবারে সোজা ভাষায় নিজের মতো করে সিনেমার পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন সৃজিত।
কলকাতা বন্দরের সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা জুলফিকার আহমেদ ওরফে প্রসেনজিৎ। ক্ষমতাবান ও জনপ্রিয়ও বটে। বন্দর এলাকা প্রায় একা হাতে নিয়ন্ত্রণ করে সে। তবে নিজের কাছের লোক পিছন থেকে ছুরি মারে তাঁকে। নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে জুলফিকারের সঙ্গে বেইমানি করে। ব্যস এখান থেকেই গল্পের ট্যুইস্ট।
সিনেমায় ভালোবাসা, স্নেহ, ঘৃণা, বন্ধুত্ব, বেইমানি, সব একসঙ্গে ঘিরে রয়েছে শুধু ওই একটা মানুষকে ঘিরে, জুলফিকার। এসবের মাঝে আর কী হল তা জানতে হলে অবশ্যই হলমুখী হতে হবে আপনাকে।
সিনেমাটির পরিচালনা যেমন করেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় তেমন প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে ভেঙ্কটেশ ফিল্মস। সঙ্গীত পরিচালনায় রয়েছেন অনুপম রায়, সিনেমাটোগ্রাফিতে সৌমিক হালদার এবং ছবি সম্পাদনার দায়িত্বে রয়েছেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।
অনুপমের সুরে আমি আজকাল ভালো আছি ও এক পুরনো মসজিদে গান দুটি বেশ হিট হয়েছে। মসজিদে গানটি গেয়ে পাঁচ বছর বাদে বাংলা সিনেমায় প্লে-ব্যাক করলেন সঙ্গীতশিল্পী নচিকেতা। এখন দেখার সকলের প্রত্যাশা এই সিনেমা পূরণ করতে পারে কিনা।