
কাঞ্জনজঙ্ঘার বিপরীতে দার্জিলিং-কে কেমন লাগে দেখেছেন কখনও? কালীপুজোর ছুটিতে চলে আসুন চাকুঙে
দার্জিলিং থেকে কাঞ্জনজঙ্ঘা অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু দূর থেকে দার্জিলিংকে কেমন লাগে দেখতে দেখেছে কখনো। সেটা দেখতে হলে আসতে হবে পশ্চিম সিকিমের চাকুঙের। সেখান থেকে জলছবির মতো দেখায় দার্জিলিং , কালিম্পংকে। একদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা আর একদিকে দার্জিিলং। তার মাঝে চাকুং। একেবারে ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ খালি চোখে দেখার সুযোগ মিলবে সিকিমের এই ছোট্ট গ্রাম থেকে।

পশ্চিম সিকিমের ছোট্ট গ্রাম চাকুং
পশ্চিম সিকিম অনেকেই গিয়ে উঠতে পারেননি। পর্যটনের মানটচিত্রে খুব একটা জনপ্রিয়তা নেই পশ্চিম সিকিমের। ছোট ছোট অঞ্চলে ভাগ সিকিমের এই পশ্চিম জেলা। সেই পশ্চিম সিকিমের ছোট্ট গ্রাম চাকুং। চারিদিকে অবশ্যই পাহাড় আর সবুজ জঙ্গল। তারই মাঝে উঁকি দেয় কাঞ্জনজঙ্ঘা। সেটাও হাতের কাছে। যেন হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যাবে। এমনই তার মনোরম পরিবেশ। খুব একটা জনবসতিও নেই। তাই পর্যটনের বাণিজ্যিক ভিড় এখানে দেখা যায় না। সেকারণে আরও বেশি মনোরম এখানকার পরিবেশ।

চাকুং থেকে দার্জিলিং
পশ্চিম সিকিমের এই ছোট্ট গ্রাম চাকুংয়ের অবস্থান এমন একটা জায়গায় যেখান থেকে দার্জিলিং, কালিম্পংকে অনায়াসে দেখা যায়। রাতের অন্ধকারে ধ্রুব তারার মত ঝকঝক করে দার্জিলিং। অজস্র জোনাকি একসঙ্গে জ্বললে যেমন উজ্জ্বল হয়ে ওঠে ঠিক সেরকম দেখায় দার্জিলিংকে। কালিম্পং অতটা জ্বলজ্বল না করলেও মনোরম দেখায়। আর দিনের আলোতে দার্জিলিংকে ছাপিয়ে যায় কাঞ্জনজঙ্ঘা। একদিকে কাঞ্জনজঙ্ঘা আরেকদিকে দার্জিলিং। যেন মুখোমুখি আলাপে মগ্ন তারা। মেঘের ফাঁকে ফাঁকে চলে লুকোচুরি খেলা।

৩৬০ ডিগ্রি ভিউ
চাকুংয়ের বিশেষত্ব এখানকার ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ। ভোর ভোর অর্থাৎ ভোর সাড়ে চারটে নাদাগ উঠে চাকুংয়ের ভিউ পয়েন্টে একবার পৌঁছতে পারলে আর কোনও কথা বলার অপেক্ষা রাখবে না। ধীরে ধীরে ঘুম ভাঙবে সূর্যের। আর তার সোনালি আলোয় আলোকিত হবে কাঞ্জনজঙ্ঘা। আর উল্টো দিকে দার্জিলিং মেঘের সঙ্গে লুকোচুরি খেলবে। সেএক স্বর্গৈয় অনুভূতি বললে ভুল হবে না। ক্যানভাসে আঁকা ছবির মতো দেখায় চারিপাশটা।

কীভাবে যাবেন
চাকুং যেতে খুব একটা বেশি সময় লাগে না শিলিগুড়ি থেকে। ৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাহাড়ের দক্ষ ড্রাইভাররা আপনাকে পৌঁছে দেবে চাকুংয়ে। পাহাড়ের বাক বেয়ে বেয়ে উঠবে গাড়ি। আর রোদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলবে পাহাড়। সারি দিয়ে থাকা পাইন আর ফার্ন। কত রকমের নাম না জানা ফুলের সমারোহ দেখা যাবে রাস্তার চারপাশে। চোখ জুড়িয়ে যাবে। হোটেল বলে তেমন কিছু নেই এখানে। রয়েছে ২ একটা হোমস্টে। গগল ঘেঁটে আগে থেকে বুকিং করে রাখলে হল।
রাতের অন্ধকারে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখেছেন? চলে আসুন সিকিমের এই প্রত্যন্ত গ্রামে