(ছবি) ছোট্ট ট্রিপে বেরিয়ে আসুন কালিম্পং
সমুদ্রের সৌন্দর্য অনন্য হলেও বাঙালিকে সবসময়ই পাহাড় একটু বেশিই টানে। আর সেই টানেই প্রতিবছর উত্তরবঙ্গের নানা জায়গায় লক্ষ লক্ষ পর্যটক ভিড় জমান।
তবে শুধু বাঙালিরা বললে ভুল হবে, সারা দেশ তথা বিশ্বের কাছেই হিমালয়ের কাছাকাছি পাহাড়ি অঞ্চলগুলির আকর্ষণ অনেক বেশি। এর মধ্যেই পর্যটকদের কাছে অন্যতম সেরা আকর্ষণ তিস্তা নদীর ধারে অবস্থিত শৈলশহর কালিম্পং।
ফুল, ফল, পাহাড়, মেঘ, মনোরম পরিবেশের কালিম্পংয়ে কয়েকদিন কাটাতেই মন ভালো হতে বাধ্য। ফলে হাতে দিন চারেকের ছুটি পেলেই নিম্ন হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই শৈল শহর হয়ে উঠতেই পারে আপনার সেরা গন্তব্যস্থল। আসুন নিচের স্লাইডে দেখে নেওয়া যাক, কালিম্পংয়ের নৈসর্গিক দৃশ্যের কয়েকঝলক।
তিস্তা নদী
কালিম্পং তিস্তা নদীর ধারে একটি শৈলশিরার উপর অবস্থিত। নেপালি, অন্যান্য আদিবাসী উপজাতি কালিম্পং শহরের প্রধান বাসিন্দা।
কালিম্পং
কালিম্পং বৌদ্ধধর্মের একটি কেন্দ্র।
মধ্য ঊনবিংশ শতাব্দির আগে পর্যন্ত কালিম্পং ও তার সংলগ্ন অঞ্চলগুলি পর্যায়ক্রমে শাসন করেছে সিকিম ও ভুটান। ১৭০৬ সালে ভুটানের রাজা একটি যুদ্ধে জয়লাভ করে এই এলাকাটি সিকিমের রাজার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন। তিনিই এই অঞ্চলের নতুন নাম রাখেন কালিম্পং।
কালিম্পং
অষ্টাদশ শতাব্দীতে কালিম্পংয়ের জনসংখ্যা খুবই কম ছিল। অধিবাসীরা ছিলেন মূলত আদিবাসী লেপচা সম্প্রদায় ও অনুপ্রবেশকারী ভুটিয়া ও লিম্বু উপজাতির। পরে গোর্খারা কালিম্পং আক্রমণ করে জয় করে নেয়।
১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে কালিম্পং দার্জিলিং জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়।
পশ্চিমবঙ্গ
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা ও দেশভাগের পর কালিম্পং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।
কাঞ্চনজঙ্ঘা
কালিম্পং থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার শৃঙ্গটি খুব পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। ফলে এখান থেকে হিমালয়ের অপরূপ শোভা চেখে দেখারও সুযোগ পাওয়া যাবে।
ডেলো পাহাড়
ডেলো পাহাড়টি কালিম্পংয়ের সবচেয়ে উঁচু পয়েন্ট। এখান থেকে কালিম্পং শহরটির শোভা সবচেয়ে ভালো দেখা যায়।
কালিম্পং আর্টস অ্যান্ড ক্রাফ্ট সেন্টার
কালিম্পংয়ের কালিম্পং আর্টস অ্যান্ড ক্রাফ্ট সেন্টারে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নানা ঐতিহাসিক সামগ্রী রয়েছে।
তিস্তা বাজার
কালিম্পংয়ে এলে প্রায় সব পর্যটকই এই বাজারে আসেন। সস্তায় নানা সামগ্রী পাওয়া যায় এখানে।
রোমান ক্যাথলিক চার্চ
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে এখানে রোমান ক্যাথলিক চার্চ গড়ে ওঠে।
জাং ঢোক পালরি ফোডাং
কালিম্পংয়ে অনেক বৌদ্ধ মনাস্ট্রি রয়েছে। এর মধ্যে জাং ঢোক পালরি ফোডাং মনাস্ট্রিটি বিখ্যাত।
কমলালেবুর বাহার
শিলিগুড়ি বিমানবন্দর থেকে কালিম্পংয়ের দুরত্ব ৬৬ কিলোমিটার। এছাড়া জলপাইগুড়ি থেকে কালিম্পংয়ের দুরত্ব ১১২ কিলোমিটার। এরপর কালিম্পংয়ে পৌঁছলে চোখে পড়বে কানাচে কানাচে এমনই কমলালেবু সহ আরও নানা ফুল-ফলের বাহারে মোড়া।
ম্যাক ফারলেন চার্চ
স্কটিশ মিশনারিরা ১৮৯১ সালে এই চার্চটি তৈরি করেন।
মর্গ্যান হাউস
ব্রিটিশ আমলে তৈরি কালিম্পংয়ের অন্যতম পুরনো বাংলো এটি।
সায়েন্স সিটি
সাম্প্রতিক সময়ে নির্মিত এই সায়েন্স সিটিতি ডেলো থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। পাহাড়ের কোলে এই জায়গাটি বাচ্চাদের অন্যতম পছন্দের জায়গা।