মাস্ক নেই-বুড়ো আঙ্গুল করোনা বিধিকে, মানালি রোহতাংয়ে ভিড় বাড়াচ্ছে পর্যটকরা
মাস্ক নেই-বুড়ো আঙ্গুল করোনা বিধিকে, মানালি রোহতাংয়ে ভিড় বাড়াচ্ছে পর্যটকরা
কোভিডের প্রথম ওয়েভ একটি নীচের দিকে নামতেই করোনাবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাস্তায় নেমেছিল দেশবাসী৷ তার ফল করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে হাতেনাতে পেয়েছি আমরা৷ কিন্তু শিক্ষা বোধহয় নিইনি কিছুই! মে-জুনে অক্সিজেন, হাসপাতালে বেডের জন্য হাহাকার করছিল পুরো দেশ সেখানে করোনা সংক্রমণ একটু নিম্নমুখী হতেই মাস্ক ছাড়াই কুলু-মানালি-রোহতাঙে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ ভারতীয়রা
জুনের গরমেই ভিড় বাড়ে মানালিতে
জুন-জুলাইয়েই প্রতিবছর প্রচুর মানুষ বেড়াতে আসেন মানালি-রোহতাঙ-এ৷ বিশেষ করে সদ্য বিবাহিতদের কাছে হানিমুন ডেস্টিনেশন হিসেবে কুলু মানালির বিকল্প খুবই কম রয়েছে৷ এই দু'তিন মাসে মানালিতে হোটেল পাওয়া মুসকিল হয়ে যায়। কিন্তু করোনা আবহে কি একই অবস্থা হয়েছে হিমাচলের রানির? উত্তর শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। প্রতিবছরের মতোই এ বছরও এখানে হাজার হাজার মানুষ এসেছেন বেড়াতে। আর তারা কেউই সঠিকভাবে মানছেন না করোনা বিধি৷
কী বলছেন মানালি-রোহতাঙের পর্যটকরা?
হানিমুনে আসা এক পাঞ্জাবী দম্পতি মানালি মল রোডের ভিড়েই মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন৷ তাঁকে সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে জিজ্ঞেস করা হয়, আপনি মাস্ক ছাড়া ঘুরছন করোনা হলে? প্রশ্নকে হেসে উড়িয়ে দিয়ে দম্পতির উত্তর, 'ওসব থার্ড ওয়েভ টোয়েভ নিয়ে আমরা ভয় পাই না৷ আমরা পঞ্জাবী, করোনা আমাদের কিছু করতে পারবে না!'
১৩০০ ফুট উঁচুতে রোহতাঙ পাস, যাওয়া যায় শুধু এই সময়েই
প্রায় সারা বছর দুর্গম বরফে ডুবে থাকে স্বর্গীয় রোহতাঙ পাস। জুন-জুলাইয়ে এই রোহতাঙের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয় এই স্বর্গীয় জায়গাটি৷ এবারেও জুনের শেষে রোহতাঙের দরজা খুলেছে পর্যটকদের জন্য৷ গাড়ি নিয়ে অটল টানেল পেরিয়ে রোহতাঙ পৌঁছে যাচ্ছেন পর্যটকরা৷ ভিড় হচ্ছে রোহতাঙেও। কিন্তু করোনার তৃতীয় ওয়েভে যে শিয়রে সে কথা ভুলে যাচ্ছেন পর্যটকরা৷ মানালির স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায় সারা দেশের তুনলায় করোনার প্রকোম কম ছিল এই উঁচু পাহাড়ি এলাকাগুলোতে৷ কিন্তু এবার তা বাড়ার সম্ভাবনা তেরি হচ্ছে!
ভিড়ের মানালি-মল রোড
দেশের অন্যতম উৎকৃষ্ট ফ্রুট ওয়াইন, আখরোড কাজু পেস্তা থেকে ফ্যান্সি শীত বস্ত্র! কী নেই এই রোডে৷ স্বাভাবিকভাবেই বরাবার পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এই মল রোড। এই করোনা আবহেও মল রোডে প্রতিদিন সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষরা ভিড় জমাচ্ছেন। বেশিরভাগের মুখে মাস্ক নেই৷ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো এখানে অলিক কল্পনা।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
পর্যটকরা যতই বেপরোয়া ভাব দেখান মানালি রোহতাঙের অবস্থা নিয়ে আশঙ্কিত হচ্ছে কোভিড বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের বড় অংশের মতে কোভিডের তৃতীয় ওয়েভকে দ্রুত আমন্ত্রণ জানানোর কোনওরকম চেষ্টায় আমরা বাকি রাখছি না৷ এখনই সচেতন না হলে খুব তাড়াতাড়ি বড় বিপদ অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।