মুকুট-সদৃশ লোলেগাঁও-তে বিরাজমান জঙ্গল, পাহাড়, বন্যপ্রাণ ও নীরবতা
মুকুট-সদৃশ লোলেগাঁও-তে বিরাজমান জঙ্গল, পাহাড়, বন্যপ্রাণ ও নীরবতা
কালিম্পং জেলার মুকুট হিসেবে পরিচিত লোলেগাঁওয়ের অন্যতম আকর্ষণ জঙ্গল, পাহাড়, বন্যপ্রাণ ও নীরবতা। কখনও সখনও নেমে আসে ঘন মেঘ। তারই বুক ভেঙে আবছা হয়ে ধরা দেয় সফেদ কাঞ্চনজঙ্ঘা। যে শোভায় মুগ্ধ হন পর্যটকরা। বারবার ছুটে যেতে মন চায় এই পার্বত্য গ্রামে।
অবস্থিতি
সমুদ্রতল থেকে প্রায় ১৭৬৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত লোলেগাঁওয়ের দূরত্ব লাভা থেকে ২৪ কিলোমিটার। সুন্দর এই গ্রামে বসবাস করেন লেপচারা। যেখানে মধু ঢেলেছে প্রকৃতি। সেই সম্পদকে কাজে লাগিয়ে এই স্থানকে ঢেলে স্থানীয় এবং রাজ্য প্রশাসন।
কীভাবে যাবেন
কলকাতা থেকে ট্রেন, বাসে পৌঁছতে হবে শিলিগুড়ি। বিমানে বাগডোগরা পৌঁছতে বেশি সময় লাগে না। সেখান থেকে বাস, প্রাইভেট কার কিংবা গাড়ি ভাড়া করে সড়ক পথে সরাসরি লোলেগাঁও পৌঁছতে সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লেগে যায়। অনেকে আবার কালিম্পং কিংবা লাভাতে এক রাত থেকে সেখান থেকে লোলেগাঁও-তে যান।
কী কী দেখবেন
১) ক্যানোপি ওয়াক : লোলেগাঁও বাস স্ট্যান্ড থেকে এক কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই স্থান পর্যটকদের সবচেয়ে বেশি টানে। পাইন, ফার, ওক গাছের ঘন বনে ১৮০ মিটার লম্বা কাঠের ঝুলন্ত ব্রিজ দেখে মুগ্ধ হতে হয়। দুটি গাছের সঙ্গে জুড়ে থাকা এই ব্রিজটি যেন কোনও এক রহস্যকে গোপন করছে।
২) ইকো পার্ক : গাছ-গাছালি, জলাশয় এবং বন্যপ্রাণে ভরা এই পার্ক লোলেগাঁওয়ের অন্যতম আকর্ষণ।
৩) ভিআইপি বাংলো ভিউ পয়েন্ট : আঁকাবাঁকা ও অমসৃণ রাস্তা ধরে কিছুটা ওপরে উঠলেই এই স্থানে পৌঁছে যাওয়া যায়। এখন থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ স্পষ্ট দেখা যায়।
কোথায় থাকবেন
আবহাওয়া মনোরম হলেও বর্ষাকাল বাদ দিয়ে সব মরসুমেই লোলেগাঁও-তে ঘুরে আসা যেতে পারে। পর্যটকদের কথা ভেবে এই স্থানে বেশ কয়েকটি হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং হোম স্টে তৈরি করেছে স্থানীয় ও রাজ্য প্রশাসন।
পার্বত্য সৌন্দর্য্যের অন্য ঠিকানা মিরিকে মেঘ রাজার নিত্য আনাগোনা