বিনামূল্যে ট্রেনে ভ্রমণ, যাবেন নাকি? দেশেই পাবেন এমন সুযোগ
বিনামূল্যে ট্রেনে ভ্রমণ, যাবেন নাকি? দেশেই পাবেন এমন সুযোগ
দূরে ভ্রমণের জন্য ট্রেনকেই আমরা বেছে নি। শুধু কী তাই, স্কুল থেকে অফিস যাত্রীরা সহজে লোকাল ট্রেনের যাতায়াত করতে পারেন। কারণ এর ভাড়াও অনেক কম হয়ে থাকে। আপনি কী জানেন আমাদের দেশে এমন একটি ট্রেন আছে, যেটিতে উঠলে ভাড়া লাগে না। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। বিশ্বাস হচ্ছে না, তাই তো। তবে, এটা জানেন তো, এই পৃথিবীতে অসম্ভব বলে কিছু হয় না। জেনে নিন এই ট্রেনটি কোথায় চলে। জানলে নিশ্চয়ই একবার চড়তে যাবেন, কি তাই তো?
কবে চালু হয়েছিল ট্রেনটি
এই ট্রেনটি ৭৩ বছর ধরে তার যাত্রীদের বিনামূল্যে যাতায়াত করাচ্ছে। এই ট্রেনটি হিমাচল প্রদেশ থেকে পঞ্জাব সীমান্তের মধ্যে চলে। ট্রেনটি হিমাচল প্রদেশের ভাকরা বাঁধের কাছে অবস্থিত ভাকরা রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে। আর এতে কিন্তু আপনার ভাকরা নাগাল ড্যাম ঘুরতে আপনার আর সুবিধা হয়ে যাবে। ১৯৪৯ সালে এই ট্রেনটি প্রথম চলাচল শুরু করেছিল। গত ৭২ বছর ধরে এতে ২৫ টি গ্রামের ৩০০ জন মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। যাত্রীদের মধ্যে বেশীরভাগই স্কুলের ছেলেমেয়েরা।
মহিলাদের জন্য আলাদা আসন আছে
অন্যান্য ট্রেনের থেকে এই ট্রেনটি দেখতে একটু আলাদা ধরনের। কাঠ দিয়ে তৈরি এই ট্রেনের ইঞ্জিন চলে ডিজেল দিয়ে। ট্রেনে আগে থাকতো ১০ টি বগি, এখন এই বগির সংখ্যা মোটে ৩ টি। এই ৩টি বগির মধ্যে একটি সংরক্ষিত মহিলাদের জন্য। আর একটি বগি সম্পূর্ণ পর্যটকদের জন্য, যাতে তারা ভাকরা বাঁধের মনোরম দৃশ্য আরামে উপভোগ করতে পারেন। কী তাহলে চড়তে যাচ্ছেন তো?
কখন ট্রেনটি ছাড়ে
প্রতিদিন সকাল ৭ টা ৫ মিনিটে ট্রেনটি নাঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছাড়ে। সকাল ৮ টা ২০ মিনিটে ভাকরা পৌঁছায়। আবার এটি বিকাল ৩.০৫ মিনিটে নাঙ্গল থেকে ছাড়ে। অন্য ট্রিপের জন্য, ৪ টে ২০ মিনিটে ভাকরা রেলওয়েতে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়।
কারা কারা এই ট্রেনে যাতায়াত করেন
ভাকরা ও নাঙ্গলের এই ট্রেনটি শিবালিক পাহাড়ের মধ্য দিয়ে ১৩ কিলোমিটার ভ্রমণ করে। এটি নেহলা স্টেশনে পৌঁছে পঞ্জাবের নাঙ্গল ড্যামের দিকে যাত্রা করে। যাতায়াতের জন্য ট্রেনটিতে প্রতি ঘন্টায় ১৮ থেকে ২০ গ্যালন ডিজেল খরচ হয়। কিন্তু ভাকরা বিয়াস ম্যানেজমেন্ট বোর্ড (BBMB) এই ট্রেন চালানোর দায়িত্ব নিয়েছে। জানেন এই ট্রেনে কারা যাতায়াত করেন? যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই হেলপার, কেউ বা পাম্প অপারেটর, আবার কেউ বা ছুতার, কেউ বা আবার বাঁধ শ্রমিকের কাজে নিযুক্ত।
বিবিএমবি আধিকারিকরা কী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন
বিবিএমবি আধিকারিকরা আর্থিক অসুবিধার কারণে ২০১১ সালে এই বিনামূল্যে পরিষেবাটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তবে, পরে এটি করা হয়নি, কারণ ট্রেনটি রাজস্বের উত্স নয়, বরং ভারতীয় রেলের তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে, ঐতিহ্য এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্যের জন্যই এমন ব্যবস্থা। সব জানার পর একটু ঘুরতে যেতে ইচ্ছা করছে তাই না, ভাবছেন কেন, একবার ঘুরেই আসুন। বিনা টিকিটে ঘুরতে কিন্তু মন্দ লাগবে না।
মেঘহীন নীল আকাশে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চজঙ্ঘা দেখতে চান? চলে আসুন পাবং