মুসলিম হয়ে গণেশ চতুর্থীতে শুভেচ্ছা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের ট্রোলের মুখে মীর
মুসলিম হয়ে গণেশ চতুর্থীতে শুভেচ্ছা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের ট্রোলের মুখে মীর
উৎসবের কোনও জাতি বা ধর্ম হয় না। তা শুধুই উৎসব হয়। মানুষ সব কিছু ভুলে থাকতে চান সেই উৎসবের মধ্য দিয়ে। আর বিভিন্ন উৎসবে মানুষকে শুভেচ্ছা জানানোর রীতি তো বহুযুগ ধরেই চলে আসছে। শুক্রবার গণেশ উৎসব উপলক্ষ্যে প্রত্যেকবারের মতো এ বছরও তাঁর ভক্ত–অনুগামীদের শুভেচ্ছা জানান জনপ্রিয় সঞ্চালক মীর। আর তাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিনা কারণে ট্রোলড হতে হল মীর। সোশ্যাল মিডিয়ায় মীরকে প্রায়শই এই কারণের জন্য ট্রোলড হতে হয়। তবে তাতে বিচলিত হন না আরজে মীর। বরং নতুন উদ্দীপনা নিয়ে নতুনভাবে শুরু করেন তিনি।
শুক্রবার একটি গণেশের ছবি পোস্ট করে মীর লেখেন, 'শুভ হোক। সুস্থ থাকুন। গণপতি বাপ্পা মোরিয়া।’ মীরের এই শুভেচ্ছা নেটিজেনরা মোটেও ভালো নজরে দেখছেন না। ইসলাম ধর্মাবলম্বী হয়ে গণেশ পুজোর শুভেচ্ছা জানানোয় সোশ্য়াল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার হলেন মীর। মীরের এই পোস্টের নীচে নেটিজেনদের তীক্ষ্ণ কটাক্ষে ভরে গিয়েছে। অনেকেই লিখেছেন, মীর নিজে ইসলাম ধর্মাবলম্বী হয়ে কেন গণেশ পুজোর শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। ট্রোলারদের মূল আক্রমণের সুর ছিল মূলত এটাই। একদিকে যখন সমালোচনা বন্যা, তখনই অন্যদিকে অনেকেই মীরের এই কাজের তারিফ করে, তাঁকে ভরিয়ে দিলেন শুভেচ্ছা বার্তায়। মীরের কয়েকজন সহকর্মী অবশ্য গোটা বিষয়টিকেই মজার ছলে নিলেন। ফউডকার মালিক এবং মীরের খুব কাছের বন্ধু ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ি লিখলেন, 'কমেন্ট পড়তে এসেছিলাম, পড়া হয়ে গেছে - এবার বাড়ি যাচ্ছি।’
তবে এটাই প্রথম বার নয়, মীর আগেও যখনই কোনও হিন্দু উৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তখন এভাবেই নেটিজেনদের কাছে ট্রোলের শিকার হয়েছেন। এর আগে দুর্গাপুজোর সময় শারদীয়ার শুভেচ্ছা পোস্ট করেও ট্রোলের শিকার হয়েছিলেন মীর। তখনও মীরকে শুনতে হয়েছিল নানা কথা। তবে মীর এগুলোকে খুব একটা পাত্তা দিতে নারাজ। মীর সর্বদাই তাঁর খোলামেলা মনের পরিচয় দিতেই ভালোবাসেন। সব উৎসবেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানান, সেখানে তিনি উৎসবের জাতি বা ধর্মকে বিচার করতে যান না।
'আমি ওঁর মুখ আর দেখতে চাই না', গোবিন্দার পরিবারে অশান্তি নিয়ে মুখ খুললেন স্ত্রী সুনীতা
মীর সবসময় তাঁর বক্তব্যকে অকপটে বলতে ভালোবাসেন। তাঁর এই মিখচোরা স্বভাব কেউ পছন্দ করেন আবার কারোর পছন্দ নয়। কিন্তু এগুলো নিয়ে একটুও ভাবতে রাজি নন মীর। তিনি নিজের ছন্দে চলতে ভালোবাসেন সবসময়। মীরের কাছে সোশ্যাল মিডিয়ায় এধরনের আচরণ নেতিবাচক মানসিকতাকেই তুলে ধরে। তাই মীর এসবে কান না দিয়ে নিজের শর্তে জীবন কাটাতে চান।