শনির বৃহত্তম চাঁদ যেন আস্ত পৃথিবী! নাসার ওয়েব টেলিস্কোপ প্রকাশ করল রত্নখচিত ছবি
শনির বৃহত্তম চাঁদ মহাকাশে ধরা দিল এক অনন্য রূপে। নাসার ওয়েব টেলিস্কোপের সৌজন্যে প্রকাশ হল সেই রত্নখচিত ছবি। সৌরজগতে এক মোহময়ী রূপে প্রতিভাত হল শনির বৃহত্তম চাঁদ টাইটান।
শনির বৃহত্তম চাঁদ মহাকাশে ধরা দিল এক অনন্য রূপে। নাসার ওয়েব টেলিস্কোপের সৌজন্যে প্রকাশ হল সেই রত্নখচিত ছবি। সৌরজগতে এক মোহময়ী রূপে প্রতিভাত হল শনির বৃহত্তম চাঁদ টাইটান। মহাকাশে নাসার শক্তিশালী টেলিস্কোপে টাইটানের বর্ণময় চিত্র দেখে যে কেউ ভুল করতে পারেন যে, এটা পৃথিবী নয় তো!
শনির চাঁদ টাইটান সৌরজগতের এক অন্যতম রত্ন। এই রত্নখচিত উপরগ্রহের সবুজ-নীল বর্ণগুলি পৃথিবীকে স্মরণ করিয়ে দেয়। আমাদের মহাবিশ্বে পৃথিবী ছাড়া এটিই একমাত্র জায়গা, যেখানে আমরা জানি সমুদ্র এবং বিস্ময়কর মেঘ রয়েছে। টাইটান এক অদ্ভুত ধরনের উপগ্রহ। বাস্তবিক অর্থেই এটি একটি বিকল্প পৃথিবী। এখানে মেঘ এবং সমুদ্র, নদী এবং হ্রদ রয়েছে। মোট কথা, জলের সমন্বয়ে গঠিত এই উপগ্রহ। এই উপগ্রহ মিথেন ও ইথেন দিয়ে তৈরি।
গত ৫ নভেম্বর গবেষকরা নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ দ্বারা স্ন্যাপ করা টাইটানের বেশ কিছু ছবি পেয়েছেন এই প্রথম। বৃহস্পতিবার নাসার একটি ব্লগ পোস্টে গ্রহ বিজ্ঞানী কনর নিক্স ইউনিভার্সিটি প্যারিস সিটির গবেষক সেবাস্তিয়ান রড্রিগেজ নতুন চিত্রগুলি দেখে বর্ণনা করেছে। প্রথম দর্শনে এটিকে অসাধারণ আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
ছবিগুলি জেমস ওয়েবের নিরক্যাম দ্বারা তোলা হয়েছিল। এটির প্রাথমিক ইমেজিং ডিভাইস, যা ইনফ্রারেড আলো শনাক্ত করে। ওয়েবের ছবিতে দেখা গিয়েছে, উত্তর গোলার্ধে দুটি মেঘ প্রকাশ করেছে। টাইটানের পূর্ববর্তী পর্যবেক্ষণে মেঘ দেখার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। নাসা সতর্ক করে জানিয়েছে, এই কাজটি এখনও পিয়ার-রিভিউ করা হয়নি।
টেলিস্কোপের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, মেঘগুলি কীভাবে নড়াচড়া করে এবং আকৃতি পরিবর্তন করে। গবেষকরা বেশ কিছু পরীক্ষায় তা সহায়তাও করে। টেলিস্কোপটি এই ঘটনার এক দিন পরে অর্থাৎ ৬ নভেম্বর মেঘ দেখতে সাহায্য করেছিল। বর্তমানে এটি স্পষ্ট নয় যে, এইগুলি একই মেঘ এবং তারা আকৃতি পরিবর্তন করেছে, নাকি এগুলি সম্পূর্ণ নতুন মেঘ। গবেষণায় জানা গিয়েছে, টাইটানে মেঘ দ্রুত তৈরি হয় এবং বিলীন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা জানান, এটি জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া শেষ দৃশ্য হবে না। আরও তা ডেটাও সরবরাহ করবে। এটি বিশেষভাবে উত্তেজনাপূর্ণ কারণ শনির সবথেকে বড় চাঁদ টাইটানকে ইনফ্রারেড এমআইআরআই ব্যবহার করা তরঙ্গদৈর্ঘ্যে দেখা যায়নি এবং এর বায়ুমণ্ডল সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্যও জানা যাবে বলে তারা আশাবাদী।