এবার 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে'র জের আরামবাগে! গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা ভর্তি হাসপাতালে
আক্রান্ত আরামবাগের আরান্ডির হিয়াতপুরের যুব তৃণমূল কর্মী শেখ সইদুল। পার্টি অফিস থেকে বাড়ির ফেরার সময় রবিবার রাতে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পায়ের গোড়ালিতে গুলি লাগে।
আক্রান্ত আরামবাগের আরান্ডির হিয়াতপুরের যুব তৃণমূল কর্মী শেখ সইদুল। পার্টি অফিস থেকে বাড়ির ফেরার সময় রবিবার রাতে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পায়ের গোড়ালিতে গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে আরামবাগের দক্ষিণ নারায়ণপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ও পরে কলকাতায় পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকে তৃণমূলের কোন গোষ্ঠী বোর্ড গঠন করবে তা নিয়ে এলাকায় বিরোধ ছিল। সেই বিরোধ থেকেই এই হামলা বলে জানা গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনও এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ চরমে উঠেছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন আরান্ডি গ্রামে বহিরাগত তৃণমূল কর্মীদের বাধা দিয়েছিল এলাকারই তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এলাকায় বুথ দখলের অভিযোগও করেছিল।
রবিবার রাতে হামলার ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যান আরামবাগের এসডিপিও কৃশাণু রায় ও আরামবাগ থানার ওসি শান্তনু মিত্র।
আগের সপ্তাহেই পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন হয়ে যান স্থানীয় এক নেতা। রবিবার সেখানকার বিধায়ক ঘটনাস্থলে যেতেই তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন মৃত তৃণমূল নেতার পরিজন ও গোষ্ঠীর লোকজন।