মোদীর মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা স্ত্রী যশোদা বেনের, আসানসোলের মন্দিরে দিলেন পুজোও
মা-র কাছে মাঝে মাঝে গেলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্ত্রীর কোনও খোঁজ রাখেন না বলে অভিযোগ। নীরবে তিনি এলেন বাংলায়, স্বামীর মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করে গেলেন আসানসোলের কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে।
মা-র কাছে মাঝে মাঝে গেলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্ত্রীর কোনও খোঁজ রাখেন না বলে অভিযোগ। দেশের প্রধানমন্ত্রীর সেই স্ত্রী যশোদাবেনই পুজো দিয়ে গেলেন বাংলা থেকে, তা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্যও নেই সংবাদমাধ্যমের। নীরবে তিনি এলেন বাংলায়, স্বামীর মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করে গেলেন আসানসোলের কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে।
২০১৪ সালে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় স্ত্রীর নামের কোনও উল্লেখ করেননি নরেন্দ্র মোদী। সেই বছরেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন তিনি। ২০১৯ সালে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময়ে স্ত্রী যশোদা বেন-র নামের উল্লেখ করলেও তিনি কী করেন তার কোনও উল্লেখ করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী তাঁর কর্তব্য থেকে এতটুকু বিচ্যুত হন না। ১৭ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার নরেন্দ্র মোদীর জন্ম দিন। তার আগে আসানসোলের মন্দিরে এসে স্বামীর মঙ্গল কামনায় পুজো দিয়ে গেলেন যশোদা বেন। এদিন একটি অনুষ্ঠানে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে এসেছিলেন তিনি। সেখান থেকেই দুপুরে কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে এসে পুজো দেন যশোদা।
এদিন তাঁর আসার খবর সে অর্থে কেউ রাখেনি। তবে প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর আসার পূর্ব মুহূর্তেই তৎপরতা শুরু হয়ে যায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে। জানা গেছে যে, এই মন্দিরের সামনে রাজেশ প্রসাদের দোকানে ২০১ টাকার পুজোর সামগ্রী কেনেন যশোদা বেন। মন্দিরের পুরোহিত বিল্টু মুখার্জি ও শুভঙ্কর দেওঘরিয়াকে পুজো করান। তাঁদের হাতে 101 টাকা দক্ষিণা দিয়ে ধানবাদ চলে যান যশোদা বেন।
বিল্টু মুখার্জি জানিয়েছেন যে, নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর নিজের নামে পুজো দেন যশোদা বেন। প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী পুজো দিচ্ছেন, তাই বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়ছিল। তারপর পুজো হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে, তাঁর সুস্থতা কামনা করে পুজো দিলেন স্ত্রী। জন্মদিনের আগে তাঁর মঙ্গল কামনায় পুজো দিয়েছেন যশোদা বেন, তা জানান ওই পুরোহিত।