এক ঘরে করে মহিলাকে এক বছর ধরে হেনস্থা, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে
তোলা দেওয়া হয়নি। তাই এক বছর ধরে মহিলাকে হেনস্থা করে যাওয়া হল। এমনই ঘটনা ঘটেছে সোনারপুরে। ঘটনা ওই অঞ্চলের কামরাবাদের। সেখানে মহিলাকে এক বছর ধরে না ভাবে হেনস্থাআ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাতেও না থেমে এখন কার্যত নানা অপবাদ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ মিলছে যা মহিলার পরিবারকে সামাজিকভাবে বয়কট করে দেওয়া হয়েছে। বলা যেতে পারে এক ঘরে করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। আর এই ঘটনায় সম্পূর্ণ অভিযোগের তির তৃণমূল নেতার দিকে।
কী অভিযোগ?
অভিযোগ উঠেছে যে তৃণমূলের কর্মীদের কিছুজন মহিলার থেকে ১০ হাজার টাকা চায় তোলা হিসাবে। তিনি দিতে পারেননি। আর এতেই শুরু হয়ে যায় অত্যাচার। মানসিক থেকে শারীরিক হয়ে সামাজিক কোনওভাবে হেনস্থা করতে বাদ রাখেনি স্থানীয় তৃনমূল কংগ্রেসের একাংশ, এমনটাই অভিযোগ। অভিযোগ দায়ের করাতে এখন শুরুন হয়েছে সামাজিকভাবে বয়কট কর দেওয়ার চেষ্টা।
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে
টাকা না দেওয়ায় প্রথমে মহিলার বাড়ির সামনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে রাস্তা তৈরির কাজে বাধা দেওয়া হয়। এরপর মহিলার মা'কে বিবস্ত্র করে মারধর করার মত ভয়ঙ্কর অভিযোগ রয়েছে। এতেও থামেনি বলে জানাচ্ছেন পেশায় জিমন্যাস্ট বিচারক ওই মহিলা। তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়। এতে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। তাতে ফল হয় আরও বাজে। নাগাড়ে মামলা তুলে নেবার হুমকি দেওয়া হয়। তাতেও নিমরাজি হওয়ায় দেওয়া হয় নানা অপবাদ। যাতে তাঁরা এলাকা ছেড়ে চলে যান। এখন এবার চেষ্টা হচ্ছে তাঁদের এক ঘরে করে দেওয়ার চেষ্টা। আট তা চলছে নাগাড়ে। এক বছর ধরে চলেছে এই ন্যক্কারজনক কাজ। আর এর মূলে রয়েছে এলাকার তৃনমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতারা। এমনটাই অভিযোগ ওই মহিলার।
পুলিশের কাছে অভিযোগ
এই নিয়ে ফের পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি স্পষ্ট বলছেন যে তাঁদের বাড়ি দলিল নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সঙ্গে ছিল ১০ হাজার টাকা। এসব দিতে রাজি না হওয়াতেই বেড়েছে দিনের পর দিন সমস্যা।
অভিযোগ অস্বীকার
এমন যে ঘটনা ঘটছে তা অস্বীকার করছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। তিনি এমন ঘটনা কিছু ঘটেনি বলে জানিয়ে দিচ্ছেন। কার্যত এসব ভুল অভিযোগ বলে বলছেন তিনি। স্পষ্ট বলছে রাস্তা নিয়ে সমস্যা হলে দেখবে ন কিন্তু বাকি কথা মিথ্যা এবং উলটে তিনি আবার আস্বাস দিয়েছেন ওই পরিবারের সবরকম সহায়তা করার।