এত ছাপ্পা, রিগিং, অশান্তির অভিযোগ বাংলায়! তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী একমাস আগে এসে কী করল? উঠছে প্রশ্ন
এদিন চতুর্থ দফায় সকাল থেকেই একেরপর এক জায়গায় অশান্তির খবর আসছে।
লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা, দ্বিতীয় দফায় বাংলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছিল। রক্ত ঝরেছে, বুথে বুথে বিক্ষিপ্ত অশান্তি হয়েছে। তবে তৃতীয় দফায় ঝরল তাজা প্রাণ। বুথ কেন্দ্রের বাইরে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে খুন হলেন একজন। তারপরও অশান্তি থামেনি। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন কেন্দ্রে বারবার অশান্তির চিত্র সামনে এসেছে।
উত্তরবঙ্গের পর্ব কাটিয়ে ভোট দক্ষিণবঙ্গের অভিমুখে আসতেই ধরে নেওয়া হয়েছিল, এবার অশান্তি চরমে উঠবে। আর এদিন চতুর্থ দফায় সকাল থেকেই একেরপর এক জায়গায় অশান্তির খবর আসছে।
নির্বাচন কমিশন প্রথমে বলেছিল একশো শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেবে। তবে তা হয়নি। ৯৮ শতাংশ বুথে বাহিনী দেওয়ার কথা হয়। তাও হয়নি। সকাল থেকেই দেখা যায় বহরমপুরের বিভিন্ন বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীই মোতায়েন নেই। রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট হচ্ছে। কোথাও প্রিসাইডিং অফিসারের সামনে ছাপ্পা, তো কোথাও পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে পাচিল টপকে ভিতরে ঢুকে ভোটদানের চেষ্টা।
এদিন জেমুয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ভোট বয়কট করেন বাসিন্দারা। কেন্দ্রীয় বাহিনী না এলে ভোট করা যাবে না বলে দাবি ওঠে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে সকলকে সরিয়ে দেয়। অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত ভোটে তাদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। এবার বাহিনীর নিরাপত্তায় তারা ভোট দেবেন।
অন্যদিকে বহরমপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াই ভোট হচ্ছে বলে অভিযোগ। কোথাও বাহিনীর নিস্ক্রিয়তাও চোখে পড়েছে। এখন প্রশ্ন হল, এই এলাকার বুথগুলি স্পর্শকাতর বলে কমিশন আগেই জরিপ করেছিল। সেইমতো প্রায় একমাস আগে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বাহিনী পাঠিয়ে রুট মার্চ করানো হয়। এলাকা পরিচিতি করানো হয়। অথচ ভোটের দিন বুথে বুথে বাহিনী অমিল কেন?
নির্বাচন কমিশন সকাল থেকে দেড় হাজারের কাছাকাছি অভিযোগ পেয়ে তা সমাধানে নেমেছে। তবে প্রশ্ন হল, বাহিনী নিয়ে এত অভিযোগ উঠছে কেন? এত নিস্ক্রিয়তা থাকলে এতদিন আগে বাহিনী এনে লাভ কী হল!