মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্ববন্দিত প্রকল্প হল কন্যাশ্রী! কারা পাবেন সুবিধা, কীভাবেই বা করতে হবে আবেদন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্ববন্দিত প্রকল্প হল কন্যাশ্রী! কারা পাবেন সুবিধা, কীভাবেই বা করতে হবে আবেদন
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) কন্যাশ্রী (kanyashree) প্রকল্পের সূচনা করেন ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর। উদ্দেশ্য ছিল নাবালিকা বিবাহের অবসান ঘটনো এবং কন্যাদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার বিস্তার করা। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্প বিশ্ববন্দিত হয়েছে। বাৎসরিক স্কলারশিপের টাকার পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে।
১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের সুবিধা
রাজ্যের ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী কন্যাদের অর্থাৎ যারা অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে, তাঁদের জন্য এই প্রকল্প চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কন্যাদের মধ্যে পড়ার উৎসাহ বাড়ানো এবং অকাল বিয়ে রুখে দিতে মুখ্যমন্ত্রী যে সফল হয়েছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধু দেশেই ময়, বিদেশে এমন কী আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই প্রকল্প প্রশংসা পেয়েছে।
প্রকল্পে আর্থিক সুবিধা
কন্যাশ্রী ওয়ান প্রকল্পে নির্দিষ্ট বয়সসীমার কন্যাদের জন্য বছরে হাজার টাকা করে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। এছাড়াও কন্যাশ্রী টু প্রকল্পে বয়স ১৮ পূর্ণ হলে তাদেরকে এককালীন ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। তবে কেবল অবিবাহিত কন্যারাই এই সুবিধা পেয়ে থাকে। স্কলারশিপ এবং এককালীন অনুদান সরাসরি দেওয়া হয় নিজ নিজ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
কন্যাশ্রী প্রাপকদের যোগ্যতা
যে কোনও কন্যা, তাকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে। পয়স হতে হবে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যে। তাকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। সরকার স্বীকৃত কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নাম নথিভুক্ত হতে হবে। পাশাপাশি নিজের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
যেসব নথি জমা দিতে হবে
এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে যেসব নথি জমা দিতে হবে, তার মধ্যে রয়েছে, বাবা-মা কিংবা অন্য যেকোনও আইনি অভিভাবকের ভোটার কার্ডের ফটোকপি। জন্মের শংসাপত্রে ফটোকপি জমা দিতে হবে। আবেদনকারীকে তার বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কে ঘোষণা করতে হবে। দরকারি তথ্য-সহ ব্যাঙ্কের পাশবইয়ের ফটোকপি জমা দিতে হবে। সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ফটো দিতে হবে। আবেদনকারীর বয়স যদি ১৩ বছরের বেশি হয় এবং অষ্টম শ্রেণির নিচু শ্রেণিতে পড়াশোনা করে এবং যদি ৪০% প্রতিবন্ধকতা থাকে তাহলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের থেকে প্রতিবন্ধকতা শংসাপত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে। নিজের নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ফর্ম সবসময়ই পাওয়া যায়। সেই ফর্ম পূরণ করে সঙ্গে দরকারি নথি দিয়ে নিজ নিজ শিক্ষা কেন্দ্রেই তা জমা দিতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই এর প্রাপ্তিস্বীকার করে রসিদ দেওয়া হবে।