নতুন মোড়কে বিধবা গ্রামে উন্নয়নের ভাবনা সরকারের
প্রাথমিকভাবে বিধবাদের দু থেকে তিনটি গ্রাম দত্তক নেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আস্তে আস্তে সবকটি গ্রামকেই সাজিয়ে তোলা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
প্রাথমিকভাবে বিধবাদের দু থেকে তিনটি গ্রাম দত্তক নেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আস্তে আস্তে সবকটি গ্রামকেই সাজিয়ে তোলা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
বাদা বন ঘেরা গোসাবা, বাসন্তী, কুলতলির গ্রামগুলির বড় পেশা মধু সংগ্রহ। পেশার তালিকায় রয়েছে মীন ও কাঁকড়া সংগ্রহের কাজও। এই কাজ করতে গিয়ে বাঘের আক্রমণের মুখে পড়েছে অনেকেই। মৃত্যু হয়েছে অনেকের। কারও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। আবার কারও খোঁজ একেবারেই পাওয়া যায়নি। সুনন্দরবনের অনেক গ্রামেই এই চিত্রটা বেশ প্রকট। গ্রামে সংখ্যা বেশি বিধবাদের। এইরকম গ্রামের সংখ্যা কমপক্ষে ১১ টি।
রাজ্য সরকারের তরফে এবার এই ধরনের গ্রামগুলিকে সাজিয়ে তোলার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দু থেকে তিনটি গ্রামকে বেছে নেওয়া হচ্ছে। জানিয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। গ্রামগুলিতে থাকা বিধবাদের সরকারের তরফে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি দেওয়ার পাশাপাশি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্টীর কাজও দেওয়া হবে তাঁদের। দেওয়া হবে ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজও।
পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় সম্প্রতি সুন্দরবনে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন পঞ্চায়েত দফতরের অফিসাররাও। ফিরে আসার পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিধবা গ্রাম নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। এরপরেই দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয় সরকারি তরফে। এরই অঙ্গ হিসেবে, সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে বাঘের আক্রমণে নিহত ১০ জনের স্ত্রীকে ১০ হাজার টাকা করে তুলে দেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সরকারের সিদ্ধান্তে খুশি বিধবারাও।