চার পুরসভায় বামেদের ভোট বৃদ্ধি! অশোকের আক্ষেপের মধ্যেও দুই অঙ্কে বামেদের ভোট, লড়াই জারির চ্যালেঞ্জ
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে (assembly election) রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবারের জন্য শূন্য হয়ে যায় বামেরা (left)। সেই সময় রাজ্য রাজনীতিতে বামেদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। তবে গত ডিসেম্বরের কলকাত
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে (assembly election) রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবারের জন্য শূন্য হয়ে যায় বামেরা (left)। সেই সময় রাজ্য রাজনীতিতে বামেদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। তবে গত ডিসেম্বরের কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের ফলে বামেদের ঝুলিতে কোথাও একটা যেন ভোট ফেরানোর পূর্বাভাস ছিল। আর সদ্য সমাপ্ত ৪ পুর কর্পোরেশনের নির্বাচনে (municipal election) সামান্য ভোট বৃদ্ধিকে লড়াই জারি রাখার রসদ বলেই মনে করছেন রাজ্যে বাম আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ১৮ থেকে ৮০ অনেকেই।
হারার পরে আক্ষেপ অশোক ভট্টাচার্যের
রাজ্যে সিপিএম তথা হারিয়ে যাওয়ার মধ্যেও শিলিগুড়ি মডেলে আশা রাখছিলেন বামেদের শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও তা আর হল না। বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরে এবার পুরসভা নির্বাচনে নিজের ওয়ার্ডে হেরে গিয়েছেন অশোক ভট্টাচার্য। সোমবার ফল ঘোষণার পরে তিনি সাংবাদিক সামনে মন্তব্য করেন, সাধারণ মানুষের কাছে বামেদের গ্রহণযোগ্যতা কমেছে। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে পরিবর্তন সেরকম হয়নি বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তবে তিনি শতাংশের ভোট বৃদ্ধির কথাও বলেছিলেন।
কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে ভোট বেড়েছিল বামেদের
বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে বামেদের ভোট বৃদ্ধি হয়েছিল। প্রায় ১২ শতাংশ ভোট আর ৬৫ টি আসনে দ্বিতীয়স্থানে ছিল বামেরা। বিজেপি বামেদের তুলনায় বেশি আসন পেলেও, শতাংশের নিরিখে বামেরা চলে এসেছিল দ্বিতীয়স্থানে।
চার পুরসভাতেও ভোট বাড়ল বামেদের
চার পুর কর্পোরেশনের মধ্যে চন্দননগর এবং বিধাননগরে শতাংশের নিরিখে বামেরা রয়েছে দ্বিতীয়স্থানে। আর শিলিগুড়ি ও আসানসোলে বিজেপি রয়েছে দ্বিতীয়স্থানে। তবে এই দুই শহরে বিজেপির থেকে বামেদের ফারাকটা খুব বেশি নয়। ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করলে চার জায়গাতেই বামেদের ভোট বৃদ্ধি হয়েছে। শিলিগুড়িতে যেখানে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪.৫ শতাংশ, সেখানে এই নির্বাচনে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৮ শতাংশের মতো। চন্দননগরে যেখানে ২০২১-এ বামেদের ভোট ছিল ৭.৫ শতাংশের আশপাশে, সেখানে ২০২২-এর পুরসভা নির্বাচনে তাদের প্রাপ্ত ভোট ২৭ শতাংশের আশপাশে। আসানসোলে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে যেথানে বামেদের ভোট ছিল ৪ শতাংশের মতো, সেখানে ভোট বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৩.৫ শতাংশের মতো। আর কলকাতার লাগোয়া বিধাননগরে যেথানে ২০২১-এর বামেদের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৩.৫ শতাংশের আশপাশে, সেখানে এবারের পুরসভা নির্বাচনে ভোট বেড়ে হয়েছে ১০.৫ শতাংশের আশপাশে।
জনসমর্থন ফিরতে সময় লাগবে
বিধাননগর এবং আসানসোলে ভোট লুটের অভিযোগ করলেও বাম নেতারা মনে করছেন, জনসমর্থন ফিরতে সময় লাগবে। তাঁদের প্রাথমিক অনুমান, বিজেপিতে চলে যাওয়া বাম ভোটের কিছুটা ফিরে এসেছে। আর কিছু গিয়েছে তৃণমূলের দিকে। তবে বামেদের দিকে জনসমর্থন ফিরতে আরও অনেকটাই সময় লাগবে বলেই মনে করছেন বাম নেতারা। ভোটের বিশ্লেষণে তাঁরা বলছেন, বিধাননগর এবং আসানসোলে শতাংশের নিরিখে ভোট সামান্য বেড়েছে। তুলনামূলক শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়া শিলিগুড়ি এবং চন্দননগরে ভোট বৃদ্ধির হার বেশ কিছু বেশি। বিষয়টিকে ইতিবাচক বলেই মনে করছেন তাঁরা।
Weather Update: ফাল্গুনের শুরুতেও মাঘের শীত! ২৪ ঘন্টায় বাংলার আবহাওয়া কেমন থাকবে, একনজরে পূর্বাভাস