ভেদাভেদের রাজনীতি চলছে! মুখ্যমন্ত্রীকে দলগত রাজনীতির ঊর্ধ্বে ওঠার বার্তা রাজ্যপালের
এক বছর পর ফের একবার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব বিজেপি। একদিকে যখন তৃতীয়বারের জন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরের সরকার গঠনের বর্ষপূর্তি পালন করছে তৃণমূল। অন্যদিকে তখন ফের একবার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে একেবারে মাঠে নেমে লড়াই করছে বঙ্গ বিজেপি।
বিজেপির দাবি ভোটের পর থেকে একের পর এক বিজেপি নেতা-কর্মী খুন হয়েছে। কিন্তু কেউ বিচার পায়নি। এমনকি সরকারি ভাবেও তাঁদের সাহায্য করা হয়নি। এমনই ৫৭ জন শহীদ পরিবারকে নিয়ে আজ মঙ্গলবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হলেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা। কার্যত বেনজির দরবার বিজেপির।

সবাইকেই পাশে থাকার বার্তা দেন রাজ্যপাল
নির্ধারিত সময়েই রাজ্যপাল বেরিয়ে আসেন রাজভবন থেকে। আর বেরিয়ে এসে সমস্ত শহিদ পরিবারের কাছ থেকে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেন। কীভাবে ঘটনা, তদন্ত প্রক্রিয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেন জগদীপ ধনখড়। তাঁকে কাছে পেয়ে অনেকেই পা পড়ে যান। কেউ বিচার চান রাজ্যপালের কাছে তো কেউ আবার একটা চাকরির জন্য দরবার করেন। সবাইকেই পাশে থাকার বার্তা দেন রাজ্যপাল।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ধনখড়
শহিদ পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ধনখড়। আর সেখান থেকেই ফের একবার রাজ্য প্রশাসনকে তোপ দাগেন তিনি। বলেন, হিংসা কখনও সমাধান হতে পারে না। শুধু তাই নয়, রাজ্যের বিরুদ্ধে ভেদাভেদির অভিযোগও সামনে এনেছেন ধনখড়। বলেন, রামপুরহাটের ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই টাকা-সরকারি চাকরি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এক বছর পর কেন এমন অবস্থা এই সমস্ত পরিবারের। কেন নজর নেই? পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকেও বার্তা দিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। বলেন, দলগত রাজনীতির উর্ধে উঠে কাজ করতে হবে।

পালটা তীব্র আক্রমণ তৃণমূলের
তবে এহেন বঙ্গ বিজেপির এহেন ভূমিকা নিয়ে পালটা তীব্র আক্রমণ তৃণমূলের। এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, রাজ্যপাল রাজভবনকে বিজেপির রংমঞ্চে পরিণত করেছেন। কাশীপুরের ঘটনা আত্মহত্যা হিসাবেই পরিণত হয়েছে। গতদিন একগুচ্ছ মিথ্যা বলা হয়েছে। এমনকি অমিত শাহকে দিয়েও মিথ্যা বলানো হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল নেতার। আর বেলুন ফাঁস হয়ে যেতেই এই সব নাটক করছে বলে দাবি তাঁর। রাজনৈতিক দলের ধর্নামঞ্চ না, ঐতিহ্য আছে... তা আরও একবার মনে করিয়ে দেন কুণাল ঘোষ। মৃত্যু নিয়ে অকারণ রাজনীতি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর।

আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন অধীরের
এই ঘটনা প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা খুবই খারাপ। ভোটের পর থেকে সন্ত্রাস চলছে। মানুষ আজ হতাশ। শুধু তাই নয়, বাংলায় মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তাহীনতায় বাংলার মানুষ ভুগছেন বলেও অভিযোগ তাঁর।